পাওনা বিপুল, ক্ষুব্ধ ফিও
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও কলকাতা
|
চলতি খাতে লেনদেনের ঘাটতি কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার যখন রফতানি বাড়াতে চাইছে, তখন রফতানিকারীদের বক্তব্য, তাঁদের হাতে টাকাই নেই! তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে পড়ে থাকা বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ফেরৎ না পেলে তাঁদের পক্ষে ব্যবসা করা কঠিন। রফতানিকারীদের সংগঠন ফিও (ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোটর্র্র্ অর্গানাইজেশনস)-র অভিযোগ, মূল্যযুক্ত কর ফেরত বা ‘ভ্যাট রিফান্ড’ বাবদ গত দু’বছরে পশ্চিমবঙ্গের কাছে তাঁদের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা পাওনা, যা রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বাধিক।
সোমবার ফিও-র সভাপতি এম রফিক আহমেদ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলির কাছে ভ্যাট ফেরত বাবদ আমরা কোটি কোটি টাকা পাই। এদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে। গত দু’বছরে অন্তত ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকা পাওনা।” বস্ত্র, চর্মজাত পণ্য রফতানিকারী সংস্থাগুলি সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছে। অর্থ দফতর অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। দফতরের এক কর্তা বলেন, “রফতানির বিষয়টি কেন্দ্রের আওতাভুক্ত। আমাদের কিছু দেওয়ার নেই।” কেন্দ্রের কাছেও কর ফেরত বাবদ অর্থ পাওনা রয়েছে রফতানিকারীদের। আহমেদ বলেন, “গত দু’মাসে এই অঙ্ক ৪,৮০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।” চলতি বছরের বাজেট তৈরির সময় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বড় দুশ্চিন্তা ছিল চলতি খাতে লেনদেনের ঘাটতি বা আমদানি-রফতানি বাবদ আয়ের ফারাক নিয়ে। পেট্রোপণ্য ও সোনা আমদানির বিপুল খরচ, সেই সঙ্গে আমেরিকা-ইউরোপে মন্দার জেরে রফতানিতে কমতি। বিদেশি মুদ্রার আয়-ব্যয়ের ঘাটতি কমাতে মনমোহন-সরকারের লক্ষ্য, চলতি অর্থবর্ষে রফতানির পরিমাণ ১০% বাড়ানো। কিন্তু তাদের টাকা যদি সরকারের ঘরে আটকে থাকে, তা হলে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে না বলে আজ জানান রফিক আহমেদ।
|
সুদ বাড়ানোর পথেই হাঁটতে পারে আরবিআই
সংবাদ সংস্থা • মুম্বই |
আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ১৮ ডিসেম্বরের ঋণনীতিতে ফের সুদ বাড়ানোর পথেই হাঁটতে পারে। অন্তত সেই আশঙ্কাই করছেন ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা। যদিও শিল্পোৎপাদন অক্টোবরে ১.৮% কমার জেরে ইতিমধ্যেই আরবিআইয়ের কাছে সুদ কমানোর আর্জি জনিয়েছে দেশের প্রথম সারির বণিকসভাগুলি। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ সৌগত ভট্টাচার্য বলেন, “রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে তা ৫০ বেসিস পয়েন্টও বাড়তে পারে।” ব্রোকারেজ সংস্থা নোমুরা-র মতেও রেপো রেট এ বার বাড়বে ২৫ বেসিস পয়েন্ট। ২০১৪-র প্রথম ত্রৈমাসিকে তা আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়বে। কারণ, খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি ভবিষ্যতে কমলেও তা ৯ শতাংশের নীচে নামবে না। ফলে চড়া সুদের জমানাই চলবে বলে মনে করছে তারা। ডয়েশ ব্যাঙ্কও ইঙ্গিত দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ বাড়ানোর পথই বেছে নেবে। আইএনজি বৈশ্য ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ উপাসনা ভরদ্বাজ বলেন, “মূল্যবৃদ্ধি কমানোর দিকেই পক্ষপাতিত্ব রয়েছে আর বি আই- এর।” তবে সুদ বাড়লেই মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা মিটবে বলে মনে করে না হংকংয়ের আর্থিক সংস্থা ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল।
পুরনো খবর: বাজার ম্লান ফের সুদ বাড়ার আশঙ্কায়
|
ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আগামী কাল দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্স (ইউএফবিইউ)। ব্যাঙ্ক শিল্পে বেতন চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১২-র অক্টোবরে। নতুন চুক্তি করতে দেরির প্রতিবাদে ও অন্যান্য দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে জানান এআইবিইএ সভাপতি ও ইউএফবিইউ নেতা রাজেন নাগর। তাঁর অভিযোগ, “বেতন চুক্তি নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সংগঠন আইবিএ অযথা দেরি করছে।” ধর্মঘটে রাষ্ট্রায়ত্ত, বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাঙ্ক যোগ দিচ্ছে বলে তাঁর দাবি। |