ফের এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ ছড়াল আসানসোল রেলপাড় এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তার বাবা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ মেয়েটিকে খোঁজার ব্যাপারে সক্রিয় নয়। রবিবার বিকেলে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গেলে তাঁর কাছে এ ব্যাপারে ক্ষোভ জানান বাসিন্দারা। মলয়বাবু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। পুলিশও নিষ্ক্রিয়তার কথা মানেনি।
মাসখানেক আগে ওই এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। দিন তিনেক পরে কল্যাণপুর আবাসন এলাকায় একটি পরিত্যক্ত আবাসনে তার দেহ মেলে। সেই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আবার এলাকার এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাই আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় রিকশা চালক মহম্মদ হালিমের ছোট মেয়ে মুসকান পারভিন বৃহস্পতিবার বন্ধুদের সঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। বন্ধুরা জানিয়েছে, রাস্তায় আলু কাটা বিক্রি হচ্ছে দেখে সে তা খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে। বন্ধুরা এগিয়ে যায়। তার পর থেকেই নিখোঁজ মেয়েটি। পর দিন আসানসোল উত্তর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বাবা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিন কুড়ি ধরে এলাকার এক তেরো বছরের কিশোরও নিখোঁজ। তার বাবা মহম্মদ মুস্তাকিন অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে এলাকার একটি মাদ্রাসার ছাত্র। নিখোঁজ হওয়ার দিন সে-ও বাড়ি ফিরছিল। এলাকায় বারবার অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে নিখোঁজের ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা না নেওয়াতেই এমন হচ্ছে।
রেলপাড় এলাকায় রবিবার তৃণমূলের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান মন্ত্রী মলয়বাবু। তাঁর আসার খবর জানাজানি হতেই বাসিন্দারা ঠিক করেন, তাঁকে বিষয়টি জানিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করবেন। মন্ত্রী আসতেই বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে ক্ষোভের কথা জানান। মলয়বাবু বলেন, “পুলিশকে উপযুক্ত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। দ্রুত নিখোঁজদের খুঁজে বের করার কথা বলেছি।” সে দিন কর্মসূচি শেষে কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সুরেশ কুমার চাডিভের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি। এডিসিপি (সেন্ট্রাল) অবশ্য এ ব্যাপারে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি জানান, তল্লাশি চলছে।
|