ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি ও স্টুয়ার্ট ব্রডের চোট রবিবারের এই দুই ঘটনায় অ্যাসেজ জয়ের দিকে অস্ট্রেলিয়া।
দিনের শেষে যখন ক্রাচে ভর দিয়ে ও সার্জিকাল বুট পায়ে ওয়াকার প্রেস কনফারেন্স রুমে এলেন ইংল্যান্ডের সফলতম পেসার, তখন তাঁর দল ৩৬৯ রানে পিছিয়ে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৫১ রানে শেষ হয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া দিনের শেষে ২৩৫-৩। এর মধ্যে ওয়ার্নার একাই ১১২। অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ও সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে।
মিচেল জনসনের আগুনে ইয়র্কার সোজা ব্রডের পায়ের পাতায় গিয়ে পড়ে। মিডল স্টাম্পে ঢোকা বল। তাই অবধারিত লেগ বিফোর। ড্রেসিংরুমে ফিরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ব্রডকে নিয়ে যাওয়া হয় রয়্যাল পারথ হসপিটালে। সেখানে স্ক্যান হওয়ার পরও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ডাক্তাররা। এমআরআইও হয়। তবে সোমবার সকালের আগে তার রিপোর্ট পাওয়া যাবে না। তার আগে জানার উপায় নেই, তাঁকে দেশে ফিরতে হবে কি না। ব্রড নিজে অবশ্য খেলার আশায়। সাংবাদিক বৈঠকে এসে বলেন, “প্রথমে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল। চেঞ্জিংরুমে ফিরে বরফ দিলাম। ব্যথা কমল। বোলিং করার জন্য মরিয়া ছিলাম। তখন না পারলেও খেলার পর নেটে চেষ্টা করলাম। ব্যথা ক্রমশ বাড়ল। ডাক্তার বললেন এক্স রে করতে হবে। এক্স রে-তে কিছু একটা পাওয়া গিয়েছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্যই এমআরআই করা হয়েছে।” |
|
|
চোট (বাঁ দিকে) ও তার পরিণতি। ওয়াকায় ওয়াকিং স্টিক
নিয়ে ব্রড। ছবি: এএফপি ও গেটি ইমেজেস। |
|
২০০২-এর ফুটবল বিশ্বকাপের আগে ডেভিড বেকহ্যামের পায়ের পাতার হাড়ে চিড় ধরার সঙ্গে ব্রডের এই চোটের তুলনা টানা শুরু হয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়ায়। আধুনিকতম চিকিৎসার পর বিশ্বকাপে খেলেছিলেন বেকহ্যাম। এই ব্যাপারে ব্রডকে জিজ্ঞাসাও করা হয়। তিনি বলেন, “ওটা বড় চোট ছিল। আমার মেটাটার্সালে চোট। মেলবোর্নের আগে দশ দিন পাচ্ছি। না খেলার কোনও কারণ নেই।”
অ্যাসেজে এ পর্যন্ত ১৪ উইকেট পাওয়া ব্রডের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা রানের ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন। ৭০ ওভারেই ২৩৫ রান তুলে নেন তাঁরা। ওয়ার্নার ১৭টি চার ও দু’টি ছয় মেরে ১৪০ বলে ১১২। এই সিরিজে ৯১.৪০-র গড়ে ৪৫৭ রান তুলে সেরা ব্যাটসম্যান এখন তিনিই। অন্য ওপেনার রজার্সের ৫৪। ওয়াটসন (২৯), স্মিথ (৫) ক্রিজে। “সোমবার, চতুর্থ দিন চায়ের মধ্যে আর দেড়শো রান তুলে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ছেড়ে দিলে ইংল্যান্ডের হার বাঁচানো মুশকিল। এই ইংল্যান্ডকে আর দেখতে পারছি না”, স্কাই স্পোর্টসে বলেন ইয়ান বোথাম, যিনি সিরিজ শুরুর আগে ৫-০ ইংল্যান্ডের জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। |