অ্যাসেজে ফের বিপন্ন ইংল্যান্ড। যদিও এই সিরিজে এ নতুন কোনও ঘটনা নয়, তবে ডিআরএস বিতর্কের প্রত্যাবর্তন এই সিরিজে প্রথম বইকী। জুলাই-অগস্টে অস্ট্রেলিয়ার ইংল্যান্ড সফরে যে ভাবে ডিআরএস ঝড় আছড়ে পড়েছিল, তেমন ঝড় এখানে অনুপস্থিত। কিন্তু দুটো টেস্ট শান্তিতে উতরে যাওয়ার পর তৃতীয়টিতেই ডিআরএস-অশান্তি ফিরে এল।
অস্ট্রেলিয়ার ৩৮৫-র জবাবে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় দিনের শেষে ১৮০-৪। তবে ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান জো রুটকে দেওয়া ভুল আউটটাই যে তাদের এই টেস্টে বেশ পিছিয়ে দিল, ইংল্যান্ড শিবিরে সেই রব উঠে পড়েছে। এমনিতেই পারথের তুমুল গরমে পারদের কাটা ৪০-এর ওপর উঠে পড়েছে। পিচে আগুনে বাউন্স। তার উপর বিতর্কের উত্তাপ। সব মিলিয়ে পারথ ফুটছে। |
বাউন্সে বেসামাল
পিটারসেন বনাম জনসন। ছবি: গেটি ইমেজেস। |
আপাতদৃষ্টিতে ওয়াটসনের বল রুটের ব্যাট ছুঁয়ে হাডিনের গ্লাভসে বন্দি হওয়ার পর আম্পায়ার এরাসমাস যখন আঙুল তোলেন, তখন আত্মবিশ্বাসী রুট পত্রপাঠ রিভিউ চান। এই সিরিজে প্রথম এবং পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহৃত ‘রিয়াল টাইম স্নিকো’-য় শোনা যায় ব্যাটে-বলে সংঘর্ষের শব্দ। টিভি আম্পায়ার টনি হিল সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। কিন্তু পরে টিভিতে হটস্পট রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটে বল ছোঁওয়ার কোনও চিহ্ন নেই। সিরিজের আগেই যেখানে দুই বোর্ডের সম্মতিতে ঠিক হয়ে রয়েছে, কোনও আউটের সিদ্ধান্ত নাকচ করতে হলে রিয়াল টাইম স্নিকো ও হটস্পট দু’টিতেই ব্যাটে-বলে না হওয়ার প্রমাণ চাই, তাই আউট না দেওয়ার কোনও উপায় ছিল না হিলের। তা হলে স্নিকোয় শব্দ কীসের? জানা যাচ্ছে, ওটা আসলে ব্যাটের সামান্যতম দূরত্বে বল উড়ে যাওয়ার শব্দ।
হতাশ রুট যখন বেরিয়ে গেলেন, তখন ইংল্যান্ড ৯০-২। এর পর কুক (৭২) ও পিটারসেনও (১৯) ফিরে যান। সিডলের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে মিচেল জনসনের হাতে ক্যাচ দেন পিটারসেন। জনসন উইকেট না পেলেও তাঁর আগুনে শর্ট পিচ বোলিংয়ের সামনে বার বার অস্বস্তিতে পড়েন পিটারসেন এবং কুক। সকালে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ স্কোরার স্টিভন স্মিথকে (১১১) এরাসমাসই কট বিহাইন্ড না দেওয়ায় রিভিউ চেয়ে কুক তা আদায় করে নেন। এতে অবশ্য কোনও ভুল ছিল না। সত্যিই আউট ছিলেন স্মিথ। স্মিথের ইনিংসের উপর ভর করেই অস্ট্রেলিয়া ৩৮৫-তে পৌঁছে যায়। তিন উইকেট পেলেন ব্রড। সোয়ান ও অ্যান্ডারসন দু’টি করে। ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ আপাতত বেল (৯) এবং স্টোকসের (১৪) হাতে। |