আইসিসি-র এ বারের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মান পেলেন মাইকেল ক্লার্ক। নিজের শততম টেস্টে নামার দিনই, শুক্রবার। বছরের সেরা টেস্ট ক্রিকেটারও অস্ট্রেলীয় অধিনায়কই।
ভারতের দু’জন বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় এ বার আছেন। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ক’দিন আগেই আইসিসি-র ‘পিপলস্ চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন। এ দিন বর্ষসেরা উঠতি ক্রিকেটারের খেতাব পেলেন চেতেশ্বর পূজারা।
স্যর গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি জয়ের সুখবর পেয়ে ক্লার্ক পারথ থেকে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বেশ অবাকই হলাম খবরটা পেয়ে। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও তো অনেকেই ভাল খেলছে ইদানীং। দলের সাফল্যের সঙ্গে আমার নিজের এই সাফল্য অদলবদল করে নিতে পারলে আরও ভাল হত।” ২০১২-র অগস্ট থেকে পরের বারো মাসে টেস্ট রানের বিচারে ক্লার্ক বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কারটি জেতেন। ওই সময়ের মধ্যে তিনি টেস্টে ১৫৫৯ রান করে সবার উপরে। পাঁচটি সেঞ্চুরি। যার মধ্যে দু’টি ডাবল সেঞ্চুরি। |
“পুরস্কার জেতাটাই সব কিছু নয়।
তবে এই পুরস্কারটা জেতার ইচ্ছে ছিল।
সাফল্যের দিকে এটা সামান্য একটা পদক্ষেপ।
ভবিষ্যতে আরও খেটে দলকে আরও অনেক কিছু দিতে চাই।” |
“বেশ অবাকই হলাম খবরটা পেয়ে।
কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেকেই ভাল খেলছে।
দলের সাফল্যের সঙ্গে আমার এই সাফল্য অদলবদল
করে
নিতে পারলে ভাল হত।” |
|
এই খেতাবের দৌড়ে ধোনিও ছিলেন। ছিলেন সেরা ওয়ান ডে ক্রিকেটারের মনোনয়ন তালিকাতেও। কিন্তু ওয়ান ডে ক্রিকেটে সেরার শিরোপা জিতেছেন শ্রীলঙ্কার কুমার সঙ্গাকারা। নির্দিষ্ট মেয়াদকালে ওয়ান ডে-তে মোট ৯৫৬ রান করে। ২০০৪-এ আইসিসি বর্ষসেরা পুরস্কার চালু হওয়ার পর মাত্র একজন ভারতীয় বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। সচিন তেন্ডুলকর, ২০১০-এ।
পূজারা নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে মাত্র দু’টি ওয়ান ডে খেললেও টেস্টে এ বছর হাজার রান পাওয়া পাঁচ ব্যাটসম্যানের তালিকায় রয়েছেন। ১০ টেস্টে ৮২.৫৩-এর গড়ে এবং চারটি সেঞ্চুরি-সহ ১০৭৩ রান করেছেন সৌরাষ্ট্রের ২৫ বছর বয়সি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। যেহেতু আইসিসি-র তিনি ‘ভোটিং পিরিয়ড’ শুরুর সময়ে পাঁচটির কম টেস্ট খেলেছিলেন এবং ২৬ বছরের কম বয়স ছিল পূজারার, তাই তিনি বর্ষসেরা উঠতি ক্রিকেটারের ক্যাটেগরিতে ছিলেন। তবে এ বারই আইসিসি বর্ষসেরা পুরস্কারের কোনও অনুষ্ঠান হল না এ দিন। এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে পুরস্কার ঘোষিত করেছে তারা। শনিবার এই নিয়ে টিভি-তে অবশ্য অনুষ্ঠান করছে আইসিসি। সঞ্চালক রিকি পন্টিং। |