|
|
|
|
হাল ফিরছে সংগঠনের, পূর্বে দাবি সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রাম-ক্ষতের মেরামত হয়নি হয়তো, কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর বিভিন্ন জনবিরোধী ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি করলেন সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্ব।
বুধ ও বৃহস্পতিবার তমলুকে দলের জেলা কার্যালয়ে সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সাংগঠনিক বর্ধিত অধিবেশন হয়। অধিবেশনে দলের পলিটবুর্যোর সদস্য তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যের উপস্থিতিতে দলের ২৩টি জোনাল কমিটি ও বিভিন্ন শাখা সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব মিলিয়ে ৩৪ জন প্রতিনিধি প্রতিবেদন পেশ করেন। এর মধ্যে অধিকাংশই এলাকায় দলের সাংগঠনিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। নন্দীগ্রামের (নন্দীগ্রাম ১ ও ২ ব্লক মিলিয়ে জোনাল কমিটি) মতো সংবেদনশীল এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৮.২৩ শতাংশ ও খেজুরি এলাকায় (খেজুরি-১ ও ২ ব্লক ) ৩৩ শতাংশ ভোট পাওয়াটা দলের ঘুরে দাঁড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করা হয় অধিবেশনে।
পর্যালোচনা বৈঠকে বলা হয়, গত ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বামফ্রন্টের ভোট প্রাপ্তির (৪৪ শতাংশ) তুলনায় এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট প্রাপ্তির হার (৪১.১১ শতাংশ ) কিছুটা কম হলেও হলদিয়ার সুতাহাটা ব্লক, তমলুকের নন্দকুমার, তমলুক, কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া ব্লকে ভোট বেড়েছে (৪৫ শতাংশের কাছাকাছি)। কিন্তু এখনও নন্দীগ্রাম-১, খেজুরি -১, ২ , মুগবেড়িয়া ও পটাশপুর-১ ব্লকে দলের জোনাল কমিটির কার্যালয় বন্ধ রয়েছে। সেখানে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার পরিস্থিতি নেই। তবে, জেলার অন্যত্র সন্ত্রাসের বাতাবরণ থাকলেও দলের সাধারণ সমর্থকরা ভয়ভীতি কাটিয়ে প্রকাশ্যে আসছেন। দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ ও বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের হার ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি করা হয় বৈঠকে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাস সত্ত্বেও এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার মানুষ যে ভাবে আমাদের সমর্থন করেছেন, তা আশাব্যঞ্জক। রাজ্য সরকারের জনবিরোধী কাজের বিরুদ্ধে মানুষ এখন প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসছেন।”
অধিবেশনে দলের নিষ্ক্রিয় শাখা, লোকাল কমিটিগুলিকে সক্রিয় করে তোলার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। শাখা, লোকাল ও জোনাল কমিটির বৈঠকে সদস্যদের অনুপস্থিতির হার পর্যালোচনা করে নিষ্ক্রিয়দের চিহ্নিতকরণ ও তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে অধিবেশনে। দলকে আরও আন্দোলনমুখী করতে সারদা কাণ্ড, মূল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়নে রাজ্যের ব্যর্থতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। আগামী ১৮ ডিসেম্বর জেলার প্রতিটি মহকুমায় ও ২৪ ডিসেম্বর জেলাশাসকের অফিসের সামনে জমায়েত করবে জেলা বামফ্রন্ট। |
|
|
|
|
|