১৭ নভেম্বর আমরা মিজোরাম ভ্রমণে যাই। যাওয়ার কিছু দিন আগেই খবর পেলাম মিজোরামে ২৫ নভেম্বর ভোট। অনেকে বারণ করলেন ভোটের আগে যেতে। তা-ও, গেলাম। রাজ্যের রাজধানী আইজল শহরে পৌঁছনোর পর থেকে আমাদের বিস্মিত হওয়া শুরু। যথেষ্ট ব্যস্ত শহর, জনসংখ্যা শহর অনুযায়ী বেশ ভালই। তবুও মানুষজন মোটেই জোরে কথা বলে না। রীতিমতো ট্র্যাফিক জ্যাম হয়, কিন্তু খুব প্রয়োজন না হলে হর্ন বাজে না। সবচেয়ে চমক ও বিস্ময়বোধ করলাম এই দেখে যে, এক্কেবারে নাকের ডগায় ভোট-দামামা বাজছে, অথচ ভোট নিয়ে তেমন কিছু নজরেই এল না। মিছিল নেই, জটলা নেই, রাস্তা আটকে মিটিং নেই, কোনও হয়রানি নেই। |
আইজল থেকে ১৯৪ কিমি দূরে মায়ানমার বর্ডারের শেষ জেলা-শহর ছাম্পাই পর্যন্ত গেছি। সময় লেগেছে আট ঘণ্টা। দীর্ঘ এই পথে ছোট ছোট চটি শহরগুলোতে ভোটের প্রচার দেখলাম অবশ্যই, কিন্তু সেটা রাস্তার এক পাশে (কোনও ভাবেই রাস্তা আটকে নয়) আর মাইকের শব্দ কানকে কোনও কষ্টই দিল না।
ছাম্পাই শহরে মিজোরাম সরকারের ট্যুরিস্ট লজে আমরা এবং এম এল এ, আমলা, দেহরক্ষীরা, সেনাবাহিনীর জওয়ানরা সবাই পাশাপাশি ঘরে থাকলাম। একই খাবার সবাই মিলে খেলাম। আমরা কলকাতা থেকে ঘুরতে গেছি জানার পর কেউ কেউ খোঁজও নিলেন, তাঁদের জন্য আমাদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না। দেওয়ালে পোস্টারের ছয়লাপও নজরে এল না কোথাও। অনেক বিস্ময় সংগ্রহ করে ফিরে এলাম।
সুপর্ণা ঘোষ। যাদবপুর, কলকাতা-৩২ |