ইটাহারের ডক্টর মেঘনাদ সাহা কলেজের অধ্যক্ষা স্বপ্না মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কলেজে ‘তদন্তে’ এলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক অপূর্ব চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক গোলাম আমডিয়া ও উন্নয়ন আধিকারিক রাজীব পুততুণ্ড কলেজে তদন্তে যান।
কলেজ সূত্রের খবর, সিপিআই নেতা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী অধ্যক্ষা স্বপ্নাদেবী অসুস্থতার কারণে গত ৯ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে রয়েছেন। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কলেজে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনারুল হক সহ কলেজের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে আয় ব্যায়ের নথির প্রতিলিপি সংগ্রহ করেন। অপূর্ববাবু অবশ্য দাবি করেছেন, “রুটিনমাফিক পরিদর্শন করতেই আমরা ওই কলেজে গিয়েছিলাম। পঠনপাঠন-সহ কলেজের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে উপাচার্যের নির্দেশে আমরা কলেজ এসেছি। রিপোর্ট উপাচার্যকেই দেব।” বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র বলেন, “সুষ্টু পঠনপাঠন ও উন্নয়নের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিভিন্ন কলেজে পরিদর্শন চলছে।”
এ দিন অবশ্য স্বপ্নাদেবী কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের যাওয়ার পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, “আমি অসুস্থতার কারণে ছুটিতে রয়েছি। শুনেছি, আমার বিরুদ্ধে নাকি তদন্ত শুরু হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব। তবে যেহেতু আমি কলেজের প্রশাসনিক প্রধানের পদে রয়েছি, তাই আমি কর্তব্যরত থাকা অবস্থাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের কলেজে আসা উচিত ছিল। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা আমার সঙ্গে কথা বলেই যা পদক্ষেপ করার করবেন।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনারুল হক বলেন, “আমিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেছি, স্বপ্নাদেবীর উপস্থিতিতে প্রতিনিধি দল কলেজে আসলে ভাল হত।” |