জেলা পরিষদের তৈরি বাজার ভবনে দোকান বিলিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রায় ৪ ঘণ্টা ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখলেন ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দারা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে মালদহের সামসি ঘাসিরাম মোড়ে অবরোধ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ অবরোধে দুর্ভোগে পড়তে হয় বাসিন্দাদের।
ঘাসিরাম মোড়ে জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কের সংযোগস্থল অবরোধ করে বিক্ষোভের জেরে শুধু জাতীয় সড়কেই নয়, রতুয়াগামী রাজ্য সড়কও এই দিন সকাল থেকে প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এলাকারই কিছু বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বাজার ভবনের দোকান বিলি ঘিরে স্বজনপোষণ সহ ৫০ লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয়েছে। মালদহ জেলা পরিষদের পাশাপাশি সামসি ব্যবসায়ী সমিতির নামেও অভিযোগ করে অবরোধকারীরা। দোকানঘরগুলি ব্যবসায়ী সমিতির করা সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা পরিষদ বিলি করে বলে অভিযোগ। দুপুরে রতুয়ার ওসি বিক্রম সিংহরায়ের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। |
সামসি ঘাসিরাম মোড়ে অবরোধে এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।
বুধবার ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে বাপি মজুমদারের তোলা ছবি। |
জেলা পরিষদ সভাধিপতি সরলা মুর্মূ বলেন, “আমি ওই সময় পরিষদ সভাধিপতি ছিলাম না। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা ঠিক নয়।” সামসি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওবাইদুর রহমান বলেছেন, “অনেকেই দোকান পেতে আবেদন করেছেন, তাঁদের ১৬ জনকে দোকান দিয়েছে পরিষদ। এতে সমিতির কোনও ভূমিকা নেই।”
জেলা পরিষদ এবং ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশন রোডে বিবেকানন্দ দৈনিক বাজারে ৫০ লক্ষ টাকায় গত বছরে ১৬টি দোকান তৈরি করে জেলা পরিষদ। দোকান ঘরগুলি ৯৯ বছর লিজে মাসিক ভাড়ায় বিলি করা হয়। বাজারে আগে থেকে যাদের দোকান ছিল তাদের আগে দোকান ঘর দেওয়া হবে বলে জেলা পরিষদ জানায়। কিছু ব্যবসায়ীর অভিযোগ, স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা পরিষদ দোকানঘর বিলি করে। এ ছাড়া কথা থাকলেও যাদের তুলে নতুন বাজার তৈরি করা হয় সে রকম তিন জন ব্যবসায়ীকে দোকানঘর দেওয়া হয়নি। মাস ছয়েক আগে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্থানীয় ব্যবসায়ী মহম্মদ রইসুদ্দিন, শ্যাম সাহার অভিযোগ, দোকানঘর বিলিতে অনিয়ম হয়েছে। তাঁরা বলেন, “বাজারে ২৫ বছর ধরে আমরা ব্যবসা করছি। ঘর না মেলায় রাস্তায় বসেই ব্যবসা চালাতে হচ্ছে।” |