সরকারি নিয়ম ভাঙায় অভিযুক্ত স্বাস্থ্য দফতর
রকারি বিধি ভাঙার অভিযোগ উঠল কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সরকারি নিয়মে পুরসভা এলাকায় ওষুধের দোকানের জন্য কংক্রিট ছাদ থাকা বাধ্যতামলুক। যদিও কোচবিহার হাসপাতাল চত্বরে নায্য মূল্যের ওষুধের দোকান তৈরির ক্ষেত্রে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সে নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ। এতে ড্রাগ কন্ট্রোল দফতর দোকান চালু করতে আপত্তি জানিয়েছে। সব মিলিয়ে ওই ঘরে ওষুধের দোকান চালু করা নিয়েই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। পাশাপাশি সরকারি নিয়ম মানায় স্বাস্থ্য দফতরই কতটা আন্তরিক সে প্রশ্নও তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
ন্যায্য মূল্যের ওষুধের এই দোকান ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।
আপাতত হাসপাতালের এক ঘরে নায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চলছে। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেছেন, “ড্রাগ কন্ট্রোলের আপত্তির বিষয়টি নজরে আসতেই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছি। রোগী কল্যাণ সমিতি বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ঘরের ছাদ তৈরির জন্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” এ বছরের মার্চে হাসপাতালে নায্য মূল্যে ওষুধের দোকান চালু হয়। কর্তৃপক্ষ পিছনের দিকে এক ঘরে অস্থায়ী ভাবে দোকান চালুর জন্য বিক্রেতা সংস্থাকে জায়গা দেন। তবে সহজেই যাতে দোকানটি নজরে পড়ে সে কারণে সামনের দিকে নতুন দোকান তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য দফতর। ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে কাজ শুরু হয়। যদিও দোকান স্থানান্তরের নিয়ে ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরে আবেদন জানানোর পরেই সমস্যার সূত্রপাত। ঘরে টিনের ছাউনি দেখে ক্ষুব্ধ কর্তারা সেখানে দোকান চালানোর অনুমতি দেননি। দফতরের কর্তারা জানান, ২০১০ সাল থেকে রাজ্যের জেলা সদরের পুর এলাকায় কংক্রিটের ঘর এবং ছাদ না থাকলে দোকান চালুর অনুমতি দেওয়ার নিয়ম নেই। ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের জেলা সহকারী অধিকর্তা গৌতম সেন এই বিষয়ে বলেন, “ওষুধ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনেই আপত্তি করা হয়। আবহাওয়ার জন্য ওষুধের গুণগতমান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটাও ভাবতে হয়েছে।”
এই ঘটনায় অস্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভাশিস সাহা বলেন, “যখন ঘর তৈরির পরিকল্পনা হয় তখন জেলার দায়িত্বে ছিলাম না।” সুপার জয়দেব বর্মনের বক্তব্য, “যে বেসরকারি সংস্থা দোকান চালাবে তাদের প্রতিনিধিকে নিয়ে পরিকল্পনা হয়। তখন নিয়মের কথা বলা হয়নি।” দায়িত্বে থাকা সংস্থার তরফে বলা হয়, সরকারি কর্তাদেরই তো নিয়ম জানার কথা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকেই ঘর নির্মাণ করা হয়েছে বলে তাদের দাবি।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.