ব্যালন ডি’অর জেতার যুদ্ধে ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি নাকী সবচেয়ে এগিয়ে। ফিফার চূড়ান্ত বাছাই তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের মত ছিল এটাই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোপেনহাগেনে জবাবটা দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। থাইয়ের চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে টিমের ২-০ জয়ে শুধু অবদানই রাখলেন না, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ লিগে সর্বোচ্চ গোল (৯) করার রেকর্ডও গড়ে ফেলে আর এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ব্যালন ডি’অর দখলের লড়াইয়ে।
আট গোল করে আগেই ইব্রাহিমোভিচ, ইনজাঘি, ক্রেসপোদের সঙ্গে একাসনে ছিলেন। মঙ্গলবার সেই রেকর্ড ভাঙতে পারবেন কি না তা নিয়েই যাবতীয় আগ্রহ ছিল ডেনমার্কের রাজধানীতে। সাইডলাইনের পাশ থেকে দু’হাত ছড়িয়ে তাঁর দৌড়ের দৃশ্যটা গত দু’ম্যাচে চোখে হারাচ্ছিলেন সমর্থকরা। সেটাই পারকেন স্টেডিয়ামের মায়াবী রাতে এল একেবারে সঠিক মুহূর্তে। রেকর্ড গড়ে পর্তুগাল মহাতারকা বলে দিলেন, “দারুণ খুশি ন’গোল করে। আমি শুধু টিমকে জিততে সাহায্য করেছি। রেকর্ডের জন্যই স্কোর করতে চেয়েছিলাম। তা বলে রেকর্ডের পেছনে ছুটতে ভালবাসি ভাবলে ভুল হবে। তার থেকে ট্রফি জেতাটা আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
|
রেকর্ড ছুঁয়ে রোনাল্ডোর উচ্ছ্বাস। |
চলতি মরসুমের শুরু থেকে স্বপ্নের ফর্ম দেখিয়ে চলেছেন পর্তুগাল মহাতারকা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেকর্ডের পাশাপাশি লা লিগায় ১৭টা গোল আর হ্যাটট্রিক করে বিশ্বকাপের মূলপর্বে তোলা তো আছেই। চোটের পরেও দুর্ধর্ষ ফর্মে বিন্দুমাত্র চিড় ধরেনি। তবে সিআর সেভেন এখনও পুরোপুরি ফিট নন। নিজেই বলছেন, “এক পা এক পা করে এগোতে হবে। এত দিন মাঠের বাইরে থাকার পর সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে পারফর্ম করাটা সোজা নয়। এখনও চূড়ান্ত ফিটনেসে পৌঁছতে পারিনি।”
শুক্রবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রি-কোয়ার্টারের ড্র। টিম যতই দুরন্ত ফর্মে থাক বা রিয়ালের মহাতারকা বলুন ‘‘টুর্নামেন্টের প্রত্যেকটা টিমই ভাল” কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি ড্র-এ ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মুখোমুখি পড়তে চান না। যারা দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের ঘরের মাঠে ৩-২ হারায়। সের্জিও আগেরো, ইয়াইয়া টোরে, ভিনসেন্ট কম্পানির মতো তারকারা না থাকলেও ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনির টিমের জয়ের নায়ক এ দিন জেমস মিলনার। ১২ মিনিটের মধ্যেই মুলার আর গোয়েটজের গোলে এগিয়ে যাওয়া বায়ার্নকে প্রথম ধাক্কাটা দেন সিলভা ম্যাচের ২৮ মিনিটে। ৫৮ মিনিটে কোলারোভ পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান। দু’টি গোলের ক্ষেত্রেই ভূমিকা ছিল মিলনারের। শেষ পর্যন্ত ৬২ মিনিটে দুরন্ত গোলে আলিয়াঞ্জ এরিনাকে স্তব্ধ করে ম্যান সিটির জয় নিশ্চিত করেন তিনি। |
টানা তুষারপাতে মঙ্গলবার বন্ধ হয়ে যায় গালাতাসারে-জুভেন্তাস ম্যাচ।
ইস্তানবুলে বুধবার আবার ম্যাচ শুরু হলে স্নেইডারের গোলে বুঁফোর
জুভেন্তাসকে ১-০ হারিয়ে শেষ ষোলোয় চলে গেল গালাতাসারে। |
৯ মাস পর ঘরের মাঠে বায়ার্নকে হারানোই শুধু নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ১০ ম্যাচ জেতার রেকর্ড আর গ্রপ লিগে ষষ্ঠ দল হিসেবে সব ম্যাচ জেতার পেপ গুয়ার্দিওলার টিমের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে করে দেয় পেলিগ্রিনির টিম। সিটির প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডও জয় পেয়েছে মঙ্গলবার। প্রিমিয়ার লিগে বিশ্রী হারের ধাক্কা সামলে ঘরের মাঠে ম্যান ইউয়ের জয়ের নায়ক ফিল জোনস। স্টেডিয়ামে ৭৫ হাজার দর্শকের উৎসবের মুহূর্ত এনে দেন জোনস ৬৭ মিনিটে বল জালে জড়িয়ে। এই জয় থেকে মোয়েসের টিম এ বার প্রিমিয়ার লিগে ঘুরে দাঁড়ানোর অক্সিজেন পায় কি না সেটাই দেখার। |
কাদের টপকালেন রোনাল্ডো |
• নিস্তেলরুই (ম্যাঞ্চেস্টার উইনাইটেড): ২০০৪-’০৫। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার (৬০ গোল)।
• ইব্রাহিমোভিচ (প্যারিস সাঁ জাঁ): আট গোলের এলিট গ্রপে সুইডিশ মহাতারকা যোগ দেন চলতি মরসুমেই।
• হার্নান ক্রেসপো (ইন্টার মিলান): ২০০২-’০৩।
• ফিলিপো ইনজাঘি (এসি মিলান): ২০০২-’০৩।
|
|