এসজেডিএ-র আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে দফতরের বাস্তুকার সপ্তর্ষি পালের জামিন হল না। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালত (ফার্স্ট কোর্ট)-এর বিচারক সৌম্যব্রত সরকার আগামী ১৬ ডিসেম্বর ওই মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন। ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন ওই বাস্তুকার। এ দিন সরকার পক্ষের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ জামিনের আবেদন নাকচের আর্জি জানান। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এসজেডিএ কাণ্ডে সপ্তর্ষি পালের বাবা সমীরণবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন সমীরণবাবু। সে কারণে মামলার কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠায় উচ্চ আদালত। সে সময় শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালত (ফার্স্ট কোর্ট)-এ সপ্তর্ষিবাবুর জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক কেস ডায়েরি না থাকায় ওই শুনানি পিছিয়ে দিয়েছিলেন। কেস ডায়েরিতে বিষয়টি নথিভুক্ত হয়। সরকারি আইনজীবী পীযূষ ঘোষ বলেন, “এ দিন কেস ডায়েরি থাকলেও সমীরণবাবুর ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ কী, তা জানা জরুরি বলে বিচারক মনে করেন। তাই আমরা জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছি। বিচারকও সেই কারণে এ দিন জামিন দেননি। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে শুনানি হবে বলে আদালত এ দিন জানিয়েছে।”
আদালত সূত্রে খবর, এসজেডিএ দুর্নীতি কাণ্ডে ৭টি মামলা রয়েছে সপ্তর্ষিবাবুর বিরুদ্ধে। তার মধ্যে রয়েছে বাগডোগরা, মালবাজার এবং ময়নাগুড়ি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো, মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি তৈরি, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে নিম্নমানের কাজ এবং বরাত পাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে করা মামলা। রয়েছে ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে ২টি আলাদা মামলাও। অন্য মামলায় জামিন পেলেও ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে করা মামলার একটিতে তিনি এখনও জেল হেফাজতে রয়েছেন বলে জানান তাঁর আইনজীবী স্বদেশরঞ্জন সরকার। স্বদেশবাবু বলেন, “সপ্তর্ষিবাবুর বাবা হাইকোর্টে আগাম জামিনের যে আবেদন করেছিলেন, তার পর্যবেক্ষণ কী, তা জানতে চান বিচারক। ই-টেন্ডার পদ্ধতি নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে, তার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে চান তিনি। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার ছিলেন না। তাই জামিন পাননি সপ্তর্ষিবাবু।” দুর্নীতি কাণ্ডে এসজেডিএ-র ৩ জন বাস্তুকার এবং ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার, ১ জন কর্মী মিলিয়ে আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তত্কালীন সিইও তথা মালদহের প্রাক্তন জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমারকে। সপ্তর্ষিবাবু ছাড়া বাকিরা সকলেই ইতিমধ্যে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। |