এসজেডিএ-র দুর্নীতি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুললেন মহম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার নকশালবাড়িতে সিপিএমের একটি জনসভায় দলের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, “এসজেডিএ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত দফতরের এক জন প্রাক্তন আধিকারিককে পুলিশ গ্রেফতার করল। অথচ তাঁকে আড়াল করতে সরকারের উপর মহল থেকে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এই সরকার তাই দুর্নীতির ঠিক তদন্ত করতে পারবে না। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি।”
এ দিন নকশালবাড়ি বাসস্ট্যান্ডের কাছে ওই সভায় ভিড় উপচে পড়ে। সেখানে ছিলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির কার্যনির্বাহী সম্পাদক জীবেশ সরকারও। দুপুরে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে অশোকবাবুরা দাবি তোলেন, এসজেডিএ-র বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির ব্যাপারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। কোন কোন প্রকল্পে কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে, শ্বেতপত্র আকারে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান তা প্রকাশ করুন বলেও দাবি জানান তিনি। অশোকবাবুদের অভিযোগ, এসজেডিএ-র বেশ কিছু প্রকল্পের কাজেও দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁদের আশঙ্কা। তাঁর দাবি, অবিলম্বে সে সব ব্যাপারেও অভিযোগ জানাতে হবে। |
সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। বিশ্বরূপ বসাকের ছবি। |
এসজেডিএ-র বর্তমান চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “অশোকবাবুদের বোঝা উচিত, এখন ওই বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। আদালতে চার্জশিট পেশ হয়নি। এই অবস্থায় কিছু করা যায় না। নিজেরা না জানলে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁরা কথা বলতে পারতেন। যথা সময়েই আমরা সমস্ত কিছু জন সমক্ষে প্রকাশ করব। বাম জমানায় এসজেডিএ-র কাজকর্মে দুর্নীতির অনেক অভিযোগও রয়েছে। সবই জনসমক্ষে আসবে।”
বামেদের অভিযোগ, আরও যে সব প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে একাধিক হিমঘর তৈরির কাজ এবং কাওয়াখালি এলাকায় ফিল্ম সিটির জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জমির মালিক নন এমন অনেককে টাকা পাইয়ে দেওয়ার নালিশ। তা ছাড়া মহানন্দা নিকাশি প্রকল্পে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি)-২ এবং এসটিপি-৩ কাজের পরিকল্পনা ছিল না। কোনও অনুমোদন ছাড়া ৫০ কোটি টাকা ওই ক্ষেত্রে খরচ করা হয়েছে। অশোকবাবু বলেন, ‘‘কোথায় কী দুর্নীতি হয়েছে, এসজেডিএ-র বর্তমান চেয়ারম্যান তা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করুক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক। আমরা সেই দাবি জানাচ্ছি। এখনও অনেক প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। অবিলম্বে তা করা হোক।”
দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাক্তন চেয়ারম্যান গোদালা কিরণকুমার মালদহের জেলাশাসক পদে থাকার সময় সম্প্রতি তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের কাছে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে চাওয়া হয়। আদালত ৪ দিন মঞ্জুর করে। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে, কার হস্তক্ষেপে ২৩ ঘন্টার মধ্যে গোদালা কিরণকুমার ছাড়া পেলেন, তা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চান অশোকবাবুরা। সিপিএমের দার্জিলিং জেলার কার্যনির্বাহী সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেছেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।”
ধৃত ৩। দুপুরে হোটেলে অভিযান চালিয়ে সশস্ত্র তিন দুষ্কৃতীকে ধরল পুলিশ। মালদহে চাঁচলের এক হোটেল থেকে মঙ্গলবার দুপুরে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান ও দু’রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। |