টুকরো খবর
দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে খুন, গ্রেফতার স্বামী
দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বছর পঁয়ত্রিশের এক যুবক। লালগড়ের বেলাটিকরি অঞ্চলের শালপাতড়া গ্রামের ঘটনা। ধৃত শুকলাল হেমব্রম পেশায় দিনমজুর। পারিবারিক অশান্তির জেরে সোমবার রাতে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী নীলিমা হেমব্রমের (৩০) মাথায় কুড়ুলের কোপ মারেন শুকলাল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নীলিমাদেবীর। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। দুপুরে অভিযুক্ত শুকলালকে গ্রেফতার করা হয়। আজ, বুধবার শুকলালকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে বিনপুরের দহিজুড়ি এলাকায় একটি কৃষি খামারে দিনমজুরের কাজ করার সময় শুকলালের সঙ্গে নীলিমা মাহালির আলাপ হয়। বিধবা নীলিমাদেবীও ওই খামারে দিনমজুরের কাজ করতেন। নীলিমাকে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তোলেন শুকলাল। স্বামীর এই আচরণে ভেঙে পড়েন শুকলালের প্রথমা স্ত্রী দীপালিদেবী। তিন সন্তানকে নিয়ে পাশেই ভাসুরের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। দু’টি বছর ঘুরতেই ক্রমে দীপালিদেবীর সঙ্গে শুকলালের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এমনকী দিনের বেলা সন্তানদের নিয়ে শুকলালের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন দীপালিদেবী। পড়শিদের একাংশের বক্তব্য, নীলিমা তাঁর স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানদের সহ্য করতে পারতেন না। কয়েক দিন আগে নীলিমার বিরুদ্ধে ভাতের হাঁড়িতে বিষ মেশানোর অভিযোগ ওঠে। তবে ভাত খাওয়ার আগেই বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় কোনও অঘটন ঘটেনি। অশান্তি চলছিলই। সোমবার রাতে ফের ওই বিষয়টি নিয়ে নীলিমার সঙ্গে শুকলালের বচসা শুরু হয় বলে জানিয়েছেন পড়শিরা। পুলিশের দাবি, জেরায় শুকলাল স্বীকার করেছেন, রাগের মাথায় তিনি কুড়ুল দিয়ে নীলিমার মাথায় আঘাত করেন।

ফের নেতাই মামলার চার্জ গঠন
ফের চার্জগঠন হল নেতাই মামলার। মামলায় কবে থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে, তা ঠিক হবে ২১ ডিসেম্বর। ২০১১-র ১৬ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর আদালতেই নেতাই মামলার চার্জগঠন হয়েছিল। সেই চার্জগঠনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তপক্ষ। ‘রিভিশন পিটিশন’ দাখিল করে তাঁরা দাবি করেন, নিম্ন আদালতে চার্জগঠনে ত্রুটি রয়েছে। আবেদনে এই মামলায় খুনের ধারা (৩০২) কেন দেওয়া হল, সে প্রশ্ন তোলা হয়। আবেদন খতিয়ে দেখে ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল নতুন করে চার্জগঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এ দিন মামলার চার্জগঠনে অবশ্য ফের ৩০২ ধারা দেওয়া হয়েছে। ২০১১-র ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিএমের সশস্ত্র শিবির থেকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। ৯ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৮ জন। তদন্তের পরে ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে আদালতে উল্লেখ করে সিবিআই। ২০১১-র ৪ এপ্রিল ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ১২ জন গ্রেফতার হন। সিপিএমের বিনপুর (লালগড়) জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে, ধরমপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক ডালিম পাণ্ডে, বেলাটিকরি লোকাল সম্পাদক চণ্ডী করণ-সহ বাকি ৮ জন ফেরার। আদালতের নির্দেশে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

পুরনো খবর:
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দ ৪০ কোটি
জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হল। শুক্রবার তমলুকে জেলা সংখ্যালঘু সেলের বৈঠকে ‘গ্রামীণ পরিকাঠামোগত উন্নয়ন তহবিল ১৯’ (আরআইডিএফ) থেকে এই টাকা বরাদ্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে মাদ্রাসা, ছাত্রাবাস, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি, রাস্তাঘাট, সেতু নির্মাণ-সহ পাঁচটি গ্রামীণ হাটের উন্নয়নের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়। জেলা সংখ্যালঘু সেলের অন্যতম সদস্য মামুদ হোসেন বলেন, “জেলার ২৫টি ব্লকের মধ্যে নন্দীগ্রাম ১, সুতাহাটা, কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া-এই চারটি ব্লকে ২০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু মানুষের বাস। এই চারটি ব্লকে সংখ্যালঘু ক্ষেত্র উন্নয়ন প্রকল্প-এর (এমএসডিপি) ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নের কাজ হবে।তা ছাড়া জেলার ২১টি ব্লকে, যেখানে ২০ শতাংশের কম সংখ্যালঘু মানুষের বাস আছে, সেখানে গ্রামীণ পরিকাঠামোগত উন্নয়ন তহবিল থেকে ৪০ কোটি টাকা উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হবে। এ ছাড়াও ওই সমস্ত ব্লকের যে জায়াগাগুলিতে ৫০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু রয়েছেন, সেখানেও একগুচ্ছ উন্নয়ন করা হবে।” বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক গোপাল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

ত্রাণ নিয়ে দলবাজির অভিযোগ বামফ্রন্টের
সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির জেরে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিলিতে অনিয়ম-সহ একাধিক অভিযোগে মঙ্গলবার তমলুক ব্লকের বিডিওকে স্মারকলিপি দিলেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। এ দিন বিকেলে তমলুকের নাইকুড়িতে বিডিও অফিসের সামনে এক সভা হয়। ছিলেন সিপিএম নেতা মুজিবর রহমান, সিপিআই নেতা চিত্তদাস ঠাকুর-সহ বামফ্রন্টের শরিক দলের নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ। পাঁশকুড়ায় কাঁসাই নদীর বাঁধ একই জায়গায় তিনবার ভেঙে সাম্প্রতিক কালে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়েছে তমলুক, পাঁশকুড়া ও নন্দকুমার ব্লকের প্রায় ২ লক্ষ বাসিন্দা। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য নিয়ে শাসক দল চূড়ান্ত দলবাজি করছে বলে অভিযোগ বামেদের। এ দিন বাম-নেতৃত্ব বিডিওকে স্মারকলিপি দিয়ে দাবি করেন, নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ বিলি করতে হবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে হবে। এলাকার পুনর্গঠনে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে।

পঞ্চায়েতে চুরি
গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের দরজার তালা ভেঙে ঢুকে নথিপত্র তছনছ করে, নগদ টাকা চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে তমলুকের বল্লুক ১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সাফাইকর্মী দরজার তালা ভাঙা দেখে প্রধানকে জানান। তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধান দিব্যেন্দু মাইতি বলেন, “দুষ্কৃতীরা আলমারিতে থাকা নথিপত্র তছনছ করেছে। একটি আলমারির লকারে থাকা নগদ প্রায় ১২০০ টাকা নেই।”

কেবল পরিষেবা
কেবল বিভ্রাটে প্রায় ৯২ ঘণ্টা টেলি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকল খেজুরি থানা এলাকা। মঙ্গলবার দুপুরের পর অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মহকুমা টেলিফোন আধিকারিক তপন দাসের নেতৃত্বে হলদিয়া থেকে আসা ইঞ্জিনিয়াররা ভূগর্ভস্থ ওই কেবল সারান। তপনবাবু জানান, শুক্রবার আচমকা ভূগর্ভস্থ কেবল লাইনে বিভ্রাট বাধায় ল্যান্ডলাইন ও মোবাইল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।

পুর অভিযান
শহরকে যানজট মুক্ত করতে অভিযানে নামল কাঁথি পুরসভা। কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী জানান, গত রবিবার থেকে কাঁথি শহরের বিভিন্ন বাজার ও রাস্তায় এই অভিযান শুরু হয়েছে। শহর যানজট মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। সৌমেন্দুবাবু বলেন, “কাঁথি শহরে বিভিন্ন রাস্তায় যত্রতত্র মোটর সাইকেল, রিকশা পার্কিং করা থাকে। এছাড়াও রাস্তার দু’পাশে থাকা দোকানের পসরা দোকান থেকে বের করে রাস্তায় সাজিয়ে রাখা হয়। ফলে পথচারীদের পক্ষে রাস্তায় যাতায়াত করা কষ্টকর হয়ে ওঠে। শহরকে যানজট মুক্ত করতেই আমাদের এই উদ্যোগ।”

শিক্ষাকর্মী সভা
তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন ‘সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি’র এক সম্মেলন হল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী, সংগঠনের সদস্যরা এতে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীদের সমস্যা এবং দাবি নিয়ে আলোচনা হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.