|
|
|
|
|
জনবিচ্ছিন্নতাই হারের কারণ, মত সিপিএমে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
সাধারণ মানুষের সঙ্গে দলের একাংশ নেতা-কর্মীর দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার ফলেই মেদিনীপুরে সাম্প্রতিক পুরভোটেও দলের ফল খারাপ হয়েছে। সিপিএমের প্রাথমিক পর্যালোচনায় এমনই মত উঠে এসেছে। দলীয় নেতৃত্বের মতে, দলের জনবিচ্ছিন্নতাই অপ্রত্যাশিত ফলের মূল কারণ। পুরভোটের প্রাথমিক পর্যালোচনা করতে সোমবার রাতে সিপিএমের এক বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার, শহর জোনাল সম্পাদক কীর্তি দে বক্সী প্রমুখ। ছিলেন মেদিনীপুর শহরের ৬টি লোকাল কমিটির সম্পাদক এবং জোনাল কমিটির সদস্যরা।
সিপিএমের দলীয় সূত্রে খবর, পরবর্তীকালে ফের বিস্তারিত ভাবে ফলের পর্যালোচনা করা হবে। বৈঠকের শুরুতে নিজেদের মত জানান লোকাল কমিটির সম্পাদক এবং জোনাল কমিটির সদস্যরা। তা নিয়ে আলোচনা হয়। সদ্যসমাপ্ত পুরভোটে ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৫টি ওয়ার্ড দখল করতে পেরেছে বাম- জোট। আগের বার তাদের দখলে ছিল ৯টি ওয়ার্ড। বাম- জোট নতুন করে মাত্র ১টি ওয়ার্ড দখল করেছে।
অন্য দিকে, হারিয়েছে ৫টি ওয়ার্ড। কেন এমন ফল? দলের একাংশ নেতার মতে, এ ক্ষেত্রে আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ক্রুটি সংশোধন অভিযান চলছে। অথচ দেখা যাচ্ছে, বারবার আলোচিত ক্রুটিগুগুলো থেকেই যাচ্ছে। তা কাটানো যাচ্ছে না। ফলে, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। একাংশ নেতৃত্বের মতে, সবচেয়ে নীচের তলার কমিটি অর্থাৎ, প্রাথমিক কমিটিকে জীবন্ত না রাখতে পারলে সাধারণ সদস্যদের সঙ্গেও সংযোগ শুকিয়ে যায়। বিস্তারের কাজ ব্যাহত হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় তাই হচ্ছে। দলের অনেকেই জনবিচ্ছিন্ন। শহর জোনাল কমিটির এক নেতার কথায়, “অনেক আগে থেকেই বিষয়টিকে পার্টির নজরে আনা হয়েছে। যে কোনও ভোট এলে এবং ভোট পেরোলে এই কাজটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য বলা হয়। তবে, এ কাজে যে সাফল্য আসেনি, তা বলাই বাহুল্য!” ওই নেতার কথায়, “এ বার আমাদের জোট সবমিলিয়ে ৫টি আসন পেয়েছে। আমরা আরও কয়েকটি আসন পাবো বলেই আশা করেছিলাম। এই ফল আমাদের কাছে সত্যিই অপ্রত্যাশিত ছিল। বৈঠকে উপস্থিত সকলেই একবাক্যে এটা মেনেছেন।” |
পুরনো খবর: তৃণমূল একা ১৩, বোর্ড গড়েও স্বস্তি নেই |
|
|
|
|
|