ডেম্পোর হয়ে প্রচুর গোল করেছেন র্যান্টি। কিন্তু এ দিন সেই দলের বিরুদ্ধেই তাঁকে মনে হচ্ছিল পুরনো র্যান্টির ছায়া। মিসপাস থেকে ভুল নিশানায় শট কোনও কিছুই বাদ ছিল না র্যান্টির খেলা থেকে। একটাও ভাল শট মারতে পারেন না গোলে। র্যান্টির চেয়ে অবশ্য সামান্য ভাল খেললেন আর এক নাইজিরিয়ান এরিক ব্রাউন। প্রথমার্ধের শুরুর থেকে দলকে আক্রমণ গড়তে সাহায্য করেন তিনিই। বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের যেটুকু বিপদে ফেলেছেন এরিকই। প্রথমার্ধের শুরুতেই তাঁর দুর্দান্ত শট ফেরে ক্রস বার কাঁপিয়ে। ইউনাইটেড কোচ স্বাভাবিক ভাবেই দলের খেলায় খুশি নন। বললেন, “আমাদের পয়েন্ট দরকার ছিল। প্রথমে ভাল শুরু করলেও তারপর থেকে আমরা খেলতে পারিনি। ”
র্যান্টির মতোই ডেম্পোর স্ট্রাইকার জেজেও এ দিন চূড়ান্ত ব্যর্থ। বারবার অফ সাইডের কবলে পড়ছিলেন উইম কোভারম্যান্সের দলের এই ফুটবলার। ইউনাইটেডের আশায় শেষ মুহূর্তে আরও একবার জল ঢেলে দেন র্যান্টি। এরিকের কর্নার থেকে র্যান্টির হেড বাইরে যায়।
এলকো অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন ক্লাবের তীব্র অনটন টিমের উপর প্রভাব ফেলেছে। “স্পনসর সমস্যা না মিটলে জানি না কী হবে। সব ফুটবলাররাই ধোঁয়াশায় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। যার প্রভাব খেলার উপরেও পড়ছে।” বলে দিয়েছেন এলকো। কোচের সঙ্গে একমত র্যান্টিও। বললেন, “এ রকম অবস্থা চললে আমাকে কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। ওদের উপর আমার বিশ্বাস আছে।”
|
ইউনাইটেড— অভিজিৎ, বেলো, হাসান, দীপক, ধনচন্দ্র, রফিক (বিনীত), তপন (বলদীপ), সৌভিক, লালকমল (স্নেহাশিস), এরিক, র্যান্টি। |