টাটকা খবর |
গাড়িতে যথেচ্ছ লাল বাতির ব্যবহার রোধে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
সংবাদ সংস্থা
|
গাড়িতে লাল বাতির ব্যবহার ‘ব্রিটিশ রাজের প্রতিফলন’। প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ গাড়িতে লাল বাতি ব্যবহার করতে পারবেন না। এর অপব্যবহার রুখতে মঙ্গলবার, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন বিচারপতি জি এস সিঙ্ঘভি ও গোপাল গৌড়া-র ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রকে এই আইনের সংশোধন করতে হবে। পাশাপাশি, লাল বাতির গাড়ি ব্যবহারে উপযুক্ত পদাধিকারীদের একটা তালিকাও দিতে বলেছে তারা। তবে ভিআইপি-দের এই তালিকা দীর্ঘায়িত করা যাবে না বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। লাল বাতির অপব্যবহার নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এ দিন কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
|
৭২ কোটি টাকার গাঁজা উদ্ধার ওড়িশার কন্ধমালে
সংবাদ সংস্থা |
ওড়িশার কন্ধমালে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ৭২ কোটি টাকার গাঁজা উদ্ধার করল আবগারি দফতর। গত চার দিন ধরে কন্ধমাল জেলার বিভিন্ন জায়গায় যৌথ ভাবে তল্লাশি চালায় আবগারি দফতর ও নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো-র আধিকারিকরা। আবগারি দফতরের সুপার শিব শঙ্কর গন্তয়ত জানান, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ় ও মুম্বই থেকে গাঁজা মাফিয়ারা ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা ফেঁদেছে। কন্ধমাল জেলাতেই প্রচুর পরিমাণে চাষ হয় গাঁজার। মাফিয়ারা গ্রামবাসীদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে, কখনও জোর করে গাঁজার চাষ করতে বাধ্য করে। এমনকী চাষ করার জন্য গ্রামবাসীদের ঋণও দেয় তারা। ফলে অধিকাংশ গ্রামবাসী তাঁদের খাদ্যশস্যের পরিবর্তে গাঁজা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
গন্তয়ত জানিয়েছেন, জেলার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তেই এই তল্লাশি অভিযান। গত বছরে এগারোটি যৌথ অভিযান চালিয়ে ১১৫ কোটি টাকার গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকার গাঁজা গাছ।
|
বিজাপুরে আত্মসমর্পণ ১০ মাওবাদীর
সংবাদ সংস্থা |
মঙ্গলবার ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে দুই দম্পতি-সহ আত্মসমর্পণ করল ১০ মাওবাদী। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে অধিকাংশই মাও-অধ্যুষিত বস্তার অঞ্চলের বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিজাপুরের ডেপুটি পুলিশ সুপার সুখনন্দন রাঠৌর জানিয়েছেন, এদের মধ্যে বেশ কয়েক জন শীর্ষ নেতা রয়েছে। উপজাতিদের উপর অত্যাচারে ও শীর্ষ নেতারের স্বৈরাচারে আশাহত হয়ে এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি আত্মসমর্পণকারীদের। পুলিশ আরও জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী নকশাল সদস্যদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।
|
আন্টার্কটিকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড
সংবাদ সংস্থা |
|
আন্টার্কটিকা। ছবি: রয়টার্স |
সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় রেকর্ড করল আন্টার্কটিকা। নাসা-র উপগ্রহ তথ্য অনুযায়ী, ২০১০-এর অগস্টে আন্টার্কটিকায় তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ৯৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। পূর্ব আন্টার্কটিকার মালভূমিতে এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। সোমবার সান ফ্রান্সিসকোতে আয়োজিত আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়ন-এর বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার-এর বিজ্ঞানী টেড স্ক্যাম্বোস জানান, ১৯৮৩ সালে রাশিয়ার ভস্টক গবেষণা কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল হিমাঙ্কের ৮৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে।
|
তুমুল হট্টগোলে ভেস্তে গেল লোকসভার অধিবেশন
সংবাদ সংস্থা |
মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই ভেস্তে গেল লোকসভার অধিবেশন। এ দিন তেলঙ্গনা, টুজি স্পেকট্রাম-এ যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট নিয়ে সংসদে তুমুল হট্টগোল হয়। সোমবারই অনাস্থা প্রস্তাবের হুমকি দিয়ে স্পিকার মীরা কুমারের কাছে নোটিস দেন সীমান্ধ্রের ছয় কংগ্রেস সাংসদ। মঙ্গলবারও জগন্মোহন রেড্ডি-সহ সীমান্ধ্রের সাংসদেরা তেলঙ্গনা নিয়ে সংসদে ঝড় তোলেন। পাশাপাশি, বিজেডি, ডিএমকে, বিএসপি সাংসদেরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে বাম ও তৃণমূলও সরব হয়।
|
মঙ্গলে সন্ধান মিলল মিষ্টি জলের হ্রদের
সংবাদ সংস্থা |
লাল গ্রহে মিষ্টি জলের হ্রদের সন্ধান পেল মঙ্গলযান (রোভার) কিউরিওসিটি। মঙ্গলবার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গল গ্রহে এই প্রথম মিষ্টি জলের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলল। তবে হ্রদটি শুকনো অবস্থায় দেখা গেলেও তার রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাঠিয়েছে মঙ্গলযান। কিউরিওসিটি-র তথ্য অনুযায়ী, আনুমানিক সাড়ে তিন কোটি বছর আগে এই হ্রদে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স’ জার্নাল-এ। |
|
এই সেই হ্রদ। পরীক্ষা করছে মঙ্গলযান। ছবি: এপি। |
রিপোর্ট বলছে, হ্রদে যে পাথরগুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলি পরীক্ষা করে কার্বন, হাইড্রোজেন, সালফার ও নাইট্রোজেনের অস্তিত্ব মিলেছে যা প্রাণের পক্ষে উপযোগী। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, হ্রদের বেলেপাথরের সঙ্গে পৃথিবীর নদীতে পাওয়া বেলেপাথরের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। এর থেকে বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই হ্রদের মধ্যে দিয়ে এক সময় কোনও নদী প্রবাহিত হত।
গবেষকরা এর আগেও মঙ্গলে জলের সন্ধান পেয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম মিষ্টি জলের হদিস মেলায় স্বভাবতই খুশি বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে পোক্ত প্রমাণ। |
|