|
|
|
|
পুলিশের পোশাকে ডাকাতি হলদিয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পুলিশের পোশাকে এসে সাত নিরাপত্তাকর্মীকে বেঁধে সোনার দোকানে ডাকাতি করল এক দল দুষ্কৃতী। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে, হলদিয়ার ভবানীপুর থানার ব্রজলালচকে। ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের গায়ে ‘ব্রজলালচক বাপুজি বাজার ব্যবসায়ী সমিতি’-র সাত নিরাপত্তা কর্মীরা প্রত্যেকেই তখন ছিলেন সেখানে। তাঁদেরই একজন মদনমোহন দাস বলেন, “দেড়টা নাগাদ পুলিশের গাড়ি টহল দিয়ে চলে যাওয়ার পর বাজারের কিছু দূরে দুটি একটা গাড়ি থেকে নামেন প্রায় জনা কুড়ি পুলিশের পোশাক পড়া লোকজন। তাঁরা হিন্দিতে কথা বলছিলেন।” তাঁর কথায়, “ ঘুণাক্ষরেও আমরা কেউ বুঝতে পারিনি, ওরা আসলে দুষ্কৃতী।” পুলিশের পোশাক যে আসলে ভেক, তা যখন বুঝতে পারেন ওই নিরাপত্তাকর্মীরা, তখন পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে গিয়েছে। এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, “দুষ্কৃতীদের প্রতেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ওরা আমাদের সাত জনকে রড, লাঠি দিয়ে মারধর করে। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধে। চিত্কার করলে প্রাণে মারার হুমকি দেয়।” এরপর গোটা ঘটনা চোখের সামনে দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না বলে ওই নিরাপত্তাকর্মীর দাবি। তাঁর কথায়, চোখের সামনেই সোনার দোকানের শাটার, গ্রিল, দরজা কেটে লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। দোকান মালিক রঞ্জিত পাল বলেন, “সোনা-রূপার গয়না ছাড়াও, সিন্দুক কেটে নগদ টাকা নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। নিরাপত্তা কর্মী রাখার পরেও যদি এমন ঘটনা ঘটে, তা হলে আমাদের মতো ব্যবসায়ীর নিরাপত্তা কোথায়?” ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালমোহন কপাট বলেন, “রাতে দু’জন সশস্ত্র পুলিশকর্মীকে স্থায়ী ভাবে পাহারায় রাখতে হবে। এ ছাড়াও আমরা তিন জন সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী রাখব। নয়তো ব্রজলালচকে পুলিশ ক্যাম্প করতে হবে।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতির আশ্বাস, “ব্যবসায়ীদের দাবি খতিয়ে দেখা হবে।” |
|
|
|
|
|