|
|
|
|
দেরিতে হলেও দেড়শো বছরের অনুষ্ঠান সাড়ম্বরেই তমলুক শহরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
জেলা সদর শহর হিসেবে স্বীকৃতি মিলেছে মাত্র ১২ বছর আগে। কিন্তু শহর হিসেবে রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন জনপদ তমলুক চলতি বছরে পা দিয়েছে দেড়শো বছরে। প্রতিষ্ঠা দিবস ধরলে অবশ্য (১৮৬৪ সালের ১ এপ্রিল) চলতি বছরের পয়লা এপ্রিলে সার্ধশতবর্ষ হয়ে গিয়েছে। সেই সময় রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় পূর্তি উত্সব করা যায়নি। এই অবস্থায় আগামী ২০১৪ সালের প্রথমেই শুরু হচ্ছে সার্ধশতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপন উত্সব। ৩ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি এই উত্সব হবে তমলুক রাজ ময়দানে। তমলুকের পুরপ্রধান দেবিকা মাইতি বলেন, “অনুষ্ঠানের পাশাপাশি একটি নতুন পৌরভবন নির্মাণ, শহরের প্রবেশস্থলে সুদৃশ্য গেট নির্মাণ, রাস্তার উন্নয়ন, আলোকিত করা-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।” |
|
তমলুক পুরসভা।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রাচীন বন্দরনগরী তাম্রলিপ্ত আজকের তমলুক শহর হিসেবে পরিচিত। সেই হিসাব ধরলে তমলুকের বয়স আরও অনেক বেশি। তবে, অবিভক্ত বাংলার অন্যতম প্রাচীন শহর তমলুক পুরসভার স্বীকৃতি পায় ১৮৬৪ সালের পয়লা এপ্রিল। ২০০২ সালের পয়লা জানুয়ারি নবগঠিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর হিসেবে স্বীকৃতি পায় রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন এই শহর। দিন দিন তমলুকের প্রশাসনিক গুরুত্ব বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে আয়তনে বেড়েছে শহর। ২০ ওয়ার্ডের এই পুরসভার জনসংখ্যা এখন ৫০ হাজারের বেশি।
এই অবস্থায় দেড়শো বছরের মাথায় পুরসভার বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। নতুন পুরভবন নির্মাণ, শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট সংস্কার, পানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রভৃতি কাজের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হবে। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কিছু রাস্তা সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়াও রাধাবল্লভপুর থেকে গঙ্গাখালি লকগেট, পায়রাটুঙ্গি লকগেট হয়ে শালগেছিয়া পর্যন্ত পাকা বাইপাস রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সার্ধ শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে শহরে নতুন একটি পৌরভবন তৈরির জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য তমলুক শহরের উত্তরচড়া শঙ্করআড়া এলাকায় পুরসভার রূপনারায়ণ অতিথি নিবাস সংলগ্ন নিজস্ব একটি জায়গা ও হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের ধারে পূর্ত দফতরের একটি জায়গা বাছা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন পৌরভবন ছাড়াও সার্ধ শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মেচেদা থেকে হলদিয়াগামী রাজ্য সড়কে তমলুক শহরের প্রবেশস্থল রাধাবল্লভপুর ও মেচেদা থেকে হলদিয়াগামী ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের নিমতৌড়িতে সুদৃশ্য প্রবেশদ্বার বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে রাধাবল্লভপুর থেকে নিমতলা পর্যন্ত অংশ আলোকিত করার কাজ করবে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলেন, “নিমতৌড়িতে তমলুক শহরের প্রবেশদ্বার বানানোর জন্য হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ সাহায্য করবে। আর রাধাবল্লভপুরে তমলুক পুরসভার তরফে প্রবেশদ্বার বানানো হবে। এ ছাড়াও হলদিয়া-মেচেদা সড়কে নিমতলায় প্রবেশদ্বার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।” |
|
|
|
|
|