রবিবার সকালে কাগজ খুলে খবরটা চোখে পড়ল। নয়াদিল্লির এক অনুষ্ঠানে এসে ইমরান খান বলেছে, সচিন তেন্ডুলকর ভাগ্যবান! ভাগ্যবান এই কারণে যে, ওকে সত্তর আর আশির দশকের ক্যারিবিয়ান পেস বোলারদের খেলতে হয়নি। সুনীল গাওস্করের কপাল খারাপ। ওকে খেলতে হয়েছে।
প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়কের কথাবার্তা আমাকে আশ্চর্য করে দিচ্ছে। আমি নিজে খুব বেশি ক্রিকেট খেলিনি। খুব বড় ক্রিকেটারও নই। তবু ব্যাপারটা নিয়ে আমার মুখ খুলতে ইচ্ছে করছে। বরাবরই দেখেছি সচিন নিয়ে ইমরানের অ্যালার্জি আছে। সচিন ষোলো বছর বয়সে যখন প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামল, নেমেছিল তো ইমরানের পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই। উল্টো দিকে তখন তো ইমরান নিজে ছিল। ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আক্রম ছিল। দেখেনি, সচিন ওদের কী ভাবে খেলেছিল? আমার তো মনে হয় ওয়াসিম-ওয়াকার-ইমরান কোনও অংশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত চার পেসারের চেয়ে কম নয়। ইমরান তো নিজেই তখন ভয় পেয়ে বলেছিল, এই বেঁটে ছেলেটাকে আউট করতে হবে! আর আজ ও এই কথা বলছে। |
সুনীল গাওস্করকে আমিও অসম্ভব শ্রদ্ধা করি। ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার পেসারকে খেলেছে, সেটা নিশ্চয়ই গর্বের ব্যাপার। কিন্তু সচিন খেলেনি বলে যে ভাগ্যবান, আমি মানতে পারছি না। কী করে তুমি ওকে মাটিতে বসিয়ে ফেলছ, ইমরান? সচিনের সময়ে যারা ফাস্ট বোলিংটা করত, তারা কেউ এলেবেলে নয়। সেরা ফর্মের কার্টলে অ্যামব্রোজ, কোর্টনি ওয়ালশকে ভাল ভাবে সামলেছে সচিন। সফল হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা, দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যালান ডোনাল্ডকে খেলেছে এবং রান পেয়েছে। মুশকিলটা হচ্ছে, ইমরান এ ভাবে খোঁচা সচিনকে বরাবর মেরে এসেছে। একবার তো বলে বসল, ইনজামাম নাকি সচিনের চেয়েও প্রতিভাবান। এতেই বোঝা যায়, তুমি সচিনকে টেনে নামাতে চাইছ। ওকে তাই খোঁচা দিচ্ছ। কারণ তুমি নিজে কোথাও না কোথাও গিয়ে জ্বলুনিতে ভুগছ। তুমি নিজে ভাল ক্রিকেটার ছিলে। কিন্তু সচিন নিয়ে তোমার এত ঈর্ষা কেন?
আর একটা কথা বলব। ডন ব্র্যাডম্যান একবার নিজে সচিন নিয়ে বলেছিলেন, ছেলেটা অনেকটা আমার মতো খেলে। সচিনের ফাস্ট বোলিং খেলতে অসুবিধে হলে, স্বয়ং ব্র্যাডম্যান নিশ্চয়ই কথাটা বলতেন না। |