|
|
|
|
পদ রাখতে কাজ করুন, কর্মীদের বার্তা তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে যাঁরা পদে রয়েছেন, কর্মীদের ভিড় তাঁদের ঘিরেই। অন্য দিকে, ফাঁকা পড়ে রয়েছে দলের বুথ-অঞ্চল কার্যালয়। ফলে, সংগঠনে ফাঁক তৈরি হচ্ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দল এবং দলের প্রতীকে নির্বাচিতদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল তৃণমূল। এ নিয়ে রবিবার এক সভা হল মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতিরা। ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতিরাও। |
|
সভায় বক্তব্য রাখছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায়।—নিজস্ব চিত্র। |
সবে চার মাস হল নতুন পঞ্চায়েত গঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে নানা অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে এ দিনের সভায় আক্রমণাত্মক ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। তিনি বুঝিয়ে দেন, পদ আঁকড়ে বসে থাকার দিন শেষ। পদে থাকতে হলে কাজ করতে হবে। দলীয় সূত্রে খবর, সভায় দীনেনবাবু বলেন, “অন্যের ভুল ধরার আগে নিজের ভুল খুঁজে বের করুন। কেউ ছোট নয়, কেউ বড় নয়। আমরা সকলে সমান। আমাদের আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।” তাঁর কথায়, “এখন অনেক কাজই এলোমেলো ভাবে হচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার অভাব আছে। কাজ করতে গেলে পরামর্শ নিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, সংগঠনে এতটুকুও ফাঁক যেন না তৈরি হয়।” পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরেই সমন্বয় কমিটি গড়া হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোত্ ঘোষ। সভায় তিনি বলেন, “সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। তাহলে মান-অভিমান থাকবে না। কাজও ভাল ভাবে এগোবে।” এ দিন দু’দফায় সভা হয়। শুরুতে দলের প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে। পরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ- সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য, ব্লক সভাপতিদের নিয়ে। একদা লালদুর্গ বলে পরিচিত পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে সিপিএম। ৬৭টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ৬৪টি তৃণমূলের দখলে এসেছে। ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২৮টিই শাসক দলের দখলে। জেলার সর্বত্র যে হারে সমর্থন বেড়েছে, তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জেলা তৃণমূলের নেতারা। আশঙ্কা, এলাকা বিরোধী-শূন্য থাকার সুযোগে একাংশ নির্বাচিত সদস্য দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন। গত চার মাসের অভিজ্ঞতাও ততটা সুখকর নয়। দেখা যাচ্ছে, অনেক এলাকায় দলের কার্যালয় সময় মতো খোলা হচ্ছে না। বুথ-অফিসগুলো বন্ধ থাকছে। আর কর্মীদের ভিড় জমছে গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে। সমস্যা সমাথানে জেলা তৃণমূল সভাপতির বার্তা, “আমাদের মনে রাখতে হবে, ক্ষমতা পাওয়া যতটা কঠিন, ক্ষমতা ধরে রাখা তার থেকেও বেশি কঠিন।” |
|
|
|
|
|