|
|
|
|
সুশাসনের বার্তা দিয়েছে ভোটের ফল: বণিকমহল |
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
৮ ডিসেম্বর |
চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন কায়েম করার বার্তাই দিয়েছে বলে মনে করছে তামাম বণিকমহল।
ইন্ডিয়ান আইএনসি, সিআইআই, অ্যাসোচ্যামের মতো প্রথম সারির বণিক সংগঠনগুলি বলছে জনগণ স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন চায়। দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ় বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল রাজনৈতিক দলগুলিকে সেই
বার্তাই দিয়েছে।
এই চার রাজ্যেই কার্যত ধরাশায়ী কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে শিল্পপতি কিরণ মজুমদার শ বলেছেন, “নেতৃত্বের ব্যর্থতা ও দুর্নীতি মোকাবিলায় বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবই কংগ্রেসের ভরাডুবির মূল কারণ।” বণিক সংগঠন অ্যাসোচ্যাম বলেছে, এই ফলাফলে একটাই বার্তা স্পষ্ট, দিনের শেষে প্রশাসনের গুণমানই হয়ে ওঠে
প্রধান নির্ণায়ক। শিল্পপতি আনন্দ মহীন্দ্রা বলেন, “সততাই শ্রেষ্ঠ
নীতি। আম আদমি পার্টির সাফল্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, আরও বেশি আদর্শবাদী হয়ে উঠতে হবে আমাদের।”
আম আদমি পার্টির সাফল্যের কথা উল্লেখ করে কিরণ মজুমদার শ বলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্বচ্ছ রাজনীতির পথে চলেছেন। আর আজ তারই সুফল ভোগ করছে তাঁর দল। অ্যাসোচ্যাম বলেছে, এ ক্ষেত্রে পুরো সাফল্যটাই আদতে ভোটদাতাদের। জাতি, ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে তাঁরা সুশাসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। যে দল সুশাসন দিতে পারে, তারাই শেষমেশ ক্ষমতায় টিকে থাকে বলে মন্তব্য অ্যাসোচ্যামের সেক্রেটারি জেনারেল ডি এস রাওয়াতের। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ অর্থনীতির মারপ্যাঁচ বোঝেন না। তবে মূল্যবৃদ্ধির জন্য ক্রয়ক্ষমতার হেরফের হলে তাঁরা বিরোধিতা করবেনই।”
শিল্পপতিরা বলছেন, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ় বিধানসভা নির্বাচনে এই মূল্যবৃদ্ধিই ভোটদাতাদের ব্যাপক হারে প্রভাবিত করেছে। তাঁদের ধারণা, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাশাপাশি শাকসব্জির আকাশছোঁয়া দামই সাধারণ মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তা ছাড়া এ বারের নির্বাচনে ব্যাপক হারে অংশগ্রহণ করেছে যুব সম্প্রদায়ও। তার প্রভাবও পড়েছে ভোটের ফলাফলে।
পঞ্জাব-হরিয়ানা-দিল্লি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৌরভ সান্যাল বলেন, “শিল্প সংস্থা হিসেবে নির্বাচনে জয়ী দলগুলির কাছে আমাদের আবেদন, বেকার সমস্যা সমধানে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে শিল্পোন্নয়নের উপর আরও বেশি করে জোর দেওয়া হোক। আর শিল্পোন্নয়নের জন্য প্রয়োজন আমূল আর্থিক সংস্কার ও ব্যাপক হারে শুল্ক ছাড়।”
অন্য দিকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির সাফল্যে বিশেষত আশাবাদী বণিক সংগঠন সিআইআই। সংগঠনের চেয়ারম্যান জয়ন্ত দাভর এ দিন এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা আত্মবিশ্বাসী, দিল্লির ভাবী সরকার আরও বেশি শিল্পবন্ধু হবে।” |
|
|
|
|
|