নবান্ন উৎসবের প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে ঘিরে দুই পাড়ার মধ্যে ধুন্ধুমার বাধল কাটোয়ার এক গ্রামে। উঠেছে বাড়ি পোড়ানো, লুঠপাট ও মারধরের অভিযোগও। পরে কাটোয়ার সিআই শচীন্দ্রনাথ পোড়িয়ার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার বিকেলে কাটোয়া ২ ব্লকের পলসোনা পঞ্চায়েতের রোন্ডা গ্রামের ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। ১১জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের কাটোয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১২ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ নবান্ন উৎসবের অন্নপূর্ণা প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের করে বাগ্দি পাড়া। দাস পাড়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ে বাজির আগুনে স্থানীয় একটি বাড়ির খড়ের চালে আগুন লাগে। দুই পাড়ার মধ্যে এ নিয়ে বচসাও বাধলেও কিছুক্ষণ পরে থেমে যায়। |
পরে দাস পাড়ার বাসিন্দা নারুগোপাল দাস কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, শোভাযাত্রা নিয়ে ফেরার পথে বাগ্দি পাড়ার লোকেরা ফের হামলা চালায়। বেশ কয়েকটা বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে, ভাঙচুর, লুঠপাট চালায় বলেও তাঁর অভিযোগ। বাগ্দি পাড়ার আট জনের নামে অভিযোগও করেন তিনি। পাল্টা অভিযোগ করে বাগ্দি পাড়াও। ওই পাড়ার স্বপন সাঁতরার অভিযোগ, দাস পাড়ার লোকেরা তাঁদের মারধর করে। তাতে আহত হন আট জন। পাড়ার একটি বাড়িতেও আগুন লাগায় তাঁরা। দাস পাড়ার ১০ জনের নামে অভিযোগ করেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন ঘটনাস্থল থেকেই দাস পাড়ার বিমান দাস, পিবাস দাস, বিধান দাস, সন্ন্যাসী দাস, দিনু দাস এবং বাগ্দি পাড়ার হাবল দিঘে, মোহন দিঘে, রবি সাঁতরা, প্রণব মল্লিক, জহর দিঘে ও উত্তম সাঁতরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ধৃতদের হয়ে কোনও আইনজীবী আদালতে এ দিন সওয়াল করেনি। ফলে কাটোয়া আদালতের এসিজেএম আইনি সহায়তা পরিষবো কেন্দ্রকে ধৃতদের আইনি সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোন্ডা গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প রাখা হয়েছে। |