এসজেডিএ-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন মালদহের জেলাশাসক গোদালা কিরণকুমার। সেই জামিন খারিজ করার আবেদন জানিয়ে শনিবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের (ফার্স্ট কোর্ট) কাছে আবেদন করলেন প্রধাননগরের বাসিন্দা গোবিন্দলাল দাস।
পেশায় গৃহশিক্ষক গোবিন্দলালবাবু জনতা দলের (ইউনাইটেড) দার্জিলিং জেলা সাধারণ সম্পাদক। তাঁর হয়ে ওই মামলা লড়ছেন ২৫ জন আইনজীবী। আগামী ১৩ ডিসেম্বর জামিন খারিজের ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
গোবিন্দলালবাবুর দাবি, “সরকারি টাকা নয়ছয়ের মামলায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন সাধারণত হওয়ার কথা নয়। এখানে আইনি প্রক্রিয়ায় কোথাও একটা ফাঁক রয়ে গিয়েছে বলেই মনে হয়। মামলার তদন্ত যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে হয় সে জন্যই প্রাক্তন এসজেডিএ কর্তার জামিন খারিজের আবেদন করা হয়েছে।” তা বলে এত জন আইনজীবী?
তাঁর আইনজীবীদের তরফে অখিল বিশ্বাসের দাবি, “সুপ্রিম কোর্টের একাধিক মামলার পর্যবেক্ষণ এবং নির্দেশের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে ওই আবেদন করা হয়েছে। আমরা জানি, আইনের চোখে সকলেই সমান। সকলে মিলে মামলা লড়লে একটা বার্তা দেওয়া যাবে। তাই আমরা ২৫ জন আইনজীবী মিলে গোবিন্দলালবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছি।” তবে, শিলিগুড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী পীযূষ ঘোষ এবং সুস্মিতা বসু মনে করেন, ওই আবেদন আদতে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে পীযূষবাবুর মন্তব্য, “আদালতে শুনানির সময়েই এ প্রসঙ্গে সবিস্তার যা বলার বলব।”
এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এসজেডিএ-এর বর্তমান চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। তবে, প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “যে কোনও সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন এ ভাবে জামিন হওয়াটা কাম্য নয়। ওই আবেদনের ভবিষ্যৎ কী তা অন্য বিষয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে যে প্রশ্ন উঠছে এই আবেদন করার মধ্য দিয়েই তা স্পষ্ট।” কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকারও জানান, যে ভাবে ওই আমলাকে জামিন দেওয়া হয়েছে কাম্য নয়। এ ব্যাপারে কংগ্রেস সিবিআই তদন্ত চায় বলেও জানান তিনি। |