মেয়ের বিয়েতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেলেন কোচবিহারের প্রাক্তন কাউন্সিলর, তৃণমূল নেতা তথা একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার কর্ণধার। শুক্রবার রাতে কোচবিহারের পাটাকুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় তপন মুখোপাধ্যায় নামে ওই প্রাক্তন কাউন্সিলরকে। তবে তিনি কংগ্রেস থাকাকালীন-ই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তৃণমূলে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, কোচবিহার এবং লাগোয়া এলাকায় তপনবাবু একাধিক অর্থলগ্নি সংস্থা খুলে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। অন্তত ৫ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রতারণার তিনটি অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়ার পরে তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যান। গত শুক্রবার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি বাড়িতে আসতে পারেন বলে পুলিশের কাছে খবর যায়। বিয়েবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তখন অবশ্য বিয়ের আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় বিয়ের আসরে তেমন কোনও বিঘ্ন ঘটেনি বলে পরিবারসূত্রে জানানো হয়েছে। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, “ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বেশ কিছু ধরেই তাঁর খোঁজ চলছিল।’’
১৯৯৫ সালে কোচবিহার পুরসভা নির্বাচনে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন তপনবাবু। পরের নির্বাচনে হেরে গিয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল আহমেদ বলেন, “যে কেউ দলের সমর্থক হতে পারেন। নেতা নয় ওই ব্যক্তিও কোনও পদে ছিলেন না। দলের সঙ্গে ওঁর সরাসরি সম্পর্ক নেই।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “উনি যখন কংগ্রেসে ছিলেন তখন ওর বিরুদ্ধে এরকম কোনও অভিযোগ ছিল না।” প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে শ্যামল বর্মন নামে লগ্নি সংস্থার আরও এক কর্তাকে গ্রেফতার করেছিল জেলা পুলিশ। |