|
|
|
|
গোয়ায় টিমের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন মোগা |
ইস্টবেঙ্গলের পাহাড় জয়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
ইস্টবেঙ্গল-২ (গুরবিন্দর, তুলুঙ্গা)
রাঙ্গদাজিদ-১ (কিম) |
শিলংয়ে ‘টিম স্পিরিটের’ নতুন দৃষ্টান্ত গড়ল ইস্টবেঙ্গল। যেখানে দলের তিন অভিজ্ঞ ফুটবলার ওপারা-হরমনজ্যোৎ-সৌমিক দেখিয়ে দিলেন, বিপদের দিনে কী ভাবে কোচের পাশে দাঁড়াতে হয়!
শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে খেলতে নামার চার ঘণ্টা আগেও প্রথম দল নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় আর্মান্দো কোলাসো হোটেলের করিডরে পায়চারি করছিলেন। রাঙ্গদাজিদ ম্যাচে তিন বিদেশির জায়গা কে ভরাট করবেন? কিন্তু গোড়ালির চোটের কথা না ভেবে ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে ওপারা স্বয়ং লাল-হলুদ কোচকে আশ্বাস দিলেন, “আমি খেলব।” নাইজিরিয়ান স্টপারের মতোই খেলার জন্য নিজে থেকে এগিয়ে আসেন হরমনজ্যোৎ ও সৌমিক। ফুটবলারদের মনোভাবে এতটাই খুশি আর্মান্দো যে, ম্যাচের পর শিলং থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে বলেই ফেললেন, “ফুটবলাররা যে দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছে, সেটা আমার কাছে তিন পয়েন্টের চেয়েও বেশি দামি।”
দামি তো বটেই। বিশেষ করে পুণেতে মুম্বই এফসি-র কাছে হারের পরে শিলংয়ে তিন পয়েন্ট খুব জরুরি ছিল ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য। লাল-হলুদ অধিনায়ক হরমনজ্যোৎ খাবরা বলছিলেন, “আজকের জয়টা ড্রেসিংরুমে অক্সিজেনের মতোই কাজ করল। আমরা সবাই যেন হাসফাঁস করছিলাম! অ্যাওয়ে ম্যাচে রাঙ্গদাজিদকে হারানো খুব কঠিন। একে তো কনকনে ঠান্ডা, তার উপর এত সমর্থক। মনে হচ্ছিল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলছি।” ইস্টবেঙ্গল বিরতির মিনিট চারেক আগেই ১-০ এগিয়ে যায়। |
তুলুঙ্গা ও চিডি। যাঁদের সৌজন্যে শিলংয়ে জয়ের গোল। |
লালরিন্দিকার ফ্রি কিক থেকে গুরবিন্দর সিংহের হেডে গোল। কিন্তু গোল পেলেও রক্ষণে রাঙ্গদাজিদকে বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি গুরবিন্দর। বিরতির আগেই কিম ইয়ংয়ের গোলে ১-১ করে ফেলে সন্তোষ কাশ্যপের দল। শিলং থেকে মোবাইলে রাঙ্গদাজিদ গোলকিপার সুব্রত পাল বলছিলেন, “মোহনবাগান ম্যাচের চেয়ে এই ম্যাচে আমরা ভাল খেলেছি। কিন্তু ভাগ্য খারাপ থাকলে কী করা যাবে? একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে গেলাম।” চিডির জোরালো শট সুব্রতর হাত ফসকাতেই ফিরতি বলে তুলুঙ্গার গোল।
শনিবার ম্যাচের সেরা হলেন লালরিন্দিকা। কিন্তু চিডি-র পাশে ফরোয়ার্ডে যে ফুটবলটা খেললেন লেন, তাতে লাল-হলুদ কোচ থেকে অধিনায়ক সবার প্রশংসা কুড়োলেন। আর্মান্দো তো বলেই ফেললেন, “আমার ম্যান অব দ্য ম্যাচ লেন। গোল না পেলেও, অসাধারণ ফুটবল খেলল। চিডি-র পাশে একজন তরুণ ফুটবলার খেলছে, মনেই হচ্ছিল না।” রবিবার সকালেই পাহাড় থেকে সমুদ্র অভিযানে যাচ্ছেন চিডিরা। সালগাওকরের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে গোয়া উড়ে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। স্বস্তির খবর হল, সব ধোঁয়াশা কাটিয়ে গোয়াতেই দলের সঙ্গে যোগ দিতে চলেছেন জেমস মোগা।
সব মিলিয়ে ডার্বি জয়ের পরে লাল-হলুদ কোচের যে গ্রাফ পড়তে শুরু করে দিয়েছিল, সেটা ফের ঊর্ধ্বমুখী।
ইস্টবেঙ্গল: গুরপ্রীত, নওবা, ওপারা (রাজু), গুরবিন্দর, সৌমিক, কেভিন (অর্ণব), ডিকা, হরমনজ্যোৎ, তুলুঙ্গা, লেন, চিডি। |
পুরনো খবর: একা চিডি আজ ভরসা আর্মান্দোর |
|
|
|
|
|