‘ঈশ্বর বাঁচান আমাদের!’ ব্রাজিল বিশ্বকাপে মারণ গ্রুপে পড়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যমের শিরোনামে আশঙ্কার ছায়া।
‘দ্য সান’ যেমন যিশুর ছবি দিয়ে বোঝাতে চাইছে, গ্রুপ ‘ডি’ থেকে পরের রাউন্ডে উঠতে গেলে ঈশ্বরের সাহায্যও লাগবে রুনিদের। তেমনই আবার ‘দ্য ডেইলি মেল’-এর ছবিতে ধরা পড়ল এফএ চেয়ারম্যান গ্রেগ ডাইকসের গলা কাটার ভঙ্গি। যার মানে ‘গ্রুপ ডি’-তে মৃত্যুই হয়তো অপেক্ষা করছে ইংল্যান্ডের জন্য। তবে ফুটবলাররা আত্মবিশ্বাসী। যেমন জ্যাক উইলশেয়ারের টুইট, ‘কঠিন গ্রুপ তো কী হয়েছে? টুর্নামেন্ট জিততে হলে এমনিই তো ভাল টিমের বিরুদ্ধে খেলতে হবে।’ ১৯৮৬ সালের সোনার বুট জয়ী ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার বলছেন, “কঠিন ড্র। কিন্তু দুটো গোলশূন্য ড্র আর কোস্টা রিকাকে হারালে আমরা শেষ ষোলোর যোগ্যতা অর্জন করব।”
এ বারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জন্য অপেক্ষা করছে জোড়া কাঁটা। দুই টিমের দুই স্ট্রাইকার সুয়ারেজ আর ‘সুপার মারিও’ বালোতেলি। সঙ্গে আমাজনের আর্দ্রতা। ইংল্যান্ড কোচ রয় হজসন যদিও বলছেন শেষ ষোলোয় ওঠা কঠিন হতে পারে, তবে অসম্ভব নয়। “গ্রুপের তিনটে ম্যাচই জেতার ক্ষমতা রাখে ইংল্যান্ড। প্রস্তুতি ভাল হচ্ছে।” গ্রুপের হেভিওয়েট দল ইতালিকে আগাম সতর্ক করে হজসন বলেন, “ইতালির মিডিয়া আমাকে জিজ্ঞেস করছিল বালোতেলিদের কী করে আটকাবেন? ওদের বলব যে, প্রান্দেলি ভাবুন রুনি বা উইলশেয়ারকে আটকাবেন কী করে?” তাঁর আরও সংযোজন, “সুয়ারেজ দারুণ প্রতিভা। কিন্তু আমারও ড্যানিয়েল স্টারিজের মতো তরুণ তারকা আছে, যে ফর্মে থাকলে ম্যাচের ছবি বদলে দিতে পারে।” |
“আমার মনে হয় ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল ফাইনালে উঠবে। ১৯৫০ ফাইনালে ব্রাজিল যখন উরুগুয়ের কাছে হেরে গিয়েছিল, তখন আমার বাবার কান্না এখনও মনে আছে। আমি চাই না আমার ছেলেমেয়েদের কান্না দেখতে।”
পেলের ভবিষ্যদ্বাণী |
|
ইংল্যান্ডের চিন্তা ব্রাজিলের আবহাওয়া নিয়েও। এফএ চেয়ারম্যান গ্রেগ ডাইকস এ দিন বলেন, “আশা করেছিলাম ব্রাজিলের উত্তর দিকে মানাউসে যাতে খেলা না পড়ে। তাই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের।”
আশঙ্কার মধ্যেও রুনিদের নিয়ে আশাবাদী মাইকেল আওয়েন। প্রাক্তন ইংরেজ স্ট্রাইকার বলছেন, ইংল্যান্ডই তাদের গ্রুপের সেরা টিম। “ইতালির চেয়ে ইংল্যান্ড ভাল দল। উরুগুয়েতে সুয়ারেজ-কাভানি থাকলেও ওদের রক্ষণ দুর্বল। সব দিক থেকেই ইংল্যান্ড এই গ্রুপের সেরা দল। তাই ইংল্যান্ড শেষ ষোলোয় না উঠলে অবাক হব।”
আওয়েনের কথার মর্যাদা রুনিরা রাখতে পারেন কি না, এখন সেটাই দেখার। |