|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
বিনয়ও সুলভ হইবেন! |
বইপোকা |
কবিতাগ্রন্থ কোন প্রকারে, কেমন নির্মাণে প্রকাশ করিতে হয়? কবিতা কী এই প্রশ্নের উত্তর জীবনানন্দ দাশ একবার দিয়াছিলেন, কবিতা অনেক রকম। এ প্রশ্নের উত্তরও ওই অনেক রকম। সিগনেট প্রেসের মিথ হইয়া যাওয়া ডিকে, দিলীপকুমার গুপ্ত বলিতেন কবিতাগ্রন্থ বর্ষাকালে ছাপা ভাল, তাহাতে কালিটি পৃষ্ঠার উপরে চাপিয়া বসে। কিন্তু কাল বিচার করিয়া কালাতিপাত করিবার সময় এখন নাই। এ কালের কোনও প্রকাশক বলিতেই পারেন, পৃথিবী বদলাইয়াছে ঢের, সিগনেটের কবিতাগ্রন্থগুলি আদর করিয়া শিকায় তুলিয়া রাখা যাউক, আপাতত অন্য পথে হাঁটি। কিন্তু, যে কেহ যে কোনও ধরনের নির্মাণে কবিতাগ্রন্থ প্রকাশ করিতে পারেন, কথা হইল সেই প্রকাশে আন্তরিকতা কতটুকু। দুই খণ্ডে বিনয় মজুমদারের কাব্যসমগ্র (সম্পাদনা তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিভাস) সেই আন্তরিকতার প্রশ্নে দশে বড় জোর এক পাইবে। এই সমগ্রে একটি কাব্যগ্রন্থ শুরু হইবার জন্য একটি পৃষ্ঠাও বরাদ্দ হয় নাই, একটি কবিতাকে দুই পৃষ্ঠায় না ভাঙিবার নীতিপালন ত দূরস্থান। এমনকী, স্থানে স্থানে একটি কবিতার দুই স্তবকের মধ্যে যে কবি-অভিপ্রেত শূন্যস্থান তাহাও চাপিয়া দেওয়া হইয়াছে। অথচ গ্রন্থটি সুসম্পাদিত। প্রতিটি কবিতাগ্রন্থের সবিস্তার পরিচিতি আছে, আছে দীর্ঘ ভূমিকাও। এই সযত্ন পরিশ্রম সম্পূর্ণতা পাইত যদি সবক’টি কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ এই সমগ্রে ছোট করিয়াও ছাপা যাইত। এই সকলে না হয় গ্রন্থের মূল্যবৃদ্ধি ঘটিতই। বিনয় মজুমদারকেও সুলভে পাঠ্যপুস্তকের ন্যায় ছাপাইয়া বিক্রয় করিতে হইবে এমন দিব্য কে দিয়াছে! |
|
|
|
|
|