৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক চওড়া করতে হবে উন্নয়নের স্বার্থে। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেই কাজ চলছে। রাস্তার দু’ধারে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটা পড়েছে। তার বদলে কত গাছ লাগানো হবে তা জানতে পারব কি? পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে দেশের মোট ভূখণ্ডের ৩৩ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। আমাদের রাজ্যে সেই তুলনায় অনেক পিছিয়ে। উন্নয়নের স্বার্থে গাছ কাটা হল। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার পাখি-কীটপতঙ্গ নিমেষে আশ্রয়হীন হয়ে গেল। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধনতুন গাছ লাগানোর পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা করুন।
লোকেশচন্দ্র বিশ্বাস, কড়ুইগাছি
|
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি তা থেকে বঞ্চিত। সর্বশিক্ষা মিশনের আর্থিক সহযোগিতায় বিদ্যালয় ভবনের জীর্ণ দশা কাটলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে বিদ্যুতায়নের ভাবনা প্রশাসন গ্রহণ করেনি। প্রবল গ্রীষ্মের দাবদাহে কচিকাঁচা বিদ্যার্থী ও শিক্ষকদের মাথায় বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরবে না কেন?
সেই সঙ্গে প্রয়োজন কচিকাঁচাদের জন্য আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল এবং মিড-ডে মিলের রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য জল। কিন্তু ভূগর্ভে জলের স্তর নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত নলকূপের সাহায্যে প্রয়োজনীয় পানীয় জলের অভাবে মেটানো অসম্ভব। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকূপ জরুরি। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সুভাষঘোষ হাজরা, পাঁচথুপি
|
দীর্ঘ দিন ধরে জঙ্গিপুর শহরে মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে মশার দাপট প্রচণ্ড হারে বেড়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য হানিকর ধূপ, লিক্যুইড, স্প্রে ব্যবহার করা ক্ষতিকর জেনেও মানুষ মশার হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে তা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। জঙ্গিপুর পুরসভার অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। রাস্তার ধারে ছোট ও বড় নালাগুলিতে এবং প্রতি বাড়িতে মশার প্রতিষেধক হিসেবে ডিডিটি স্প্রে করার আবেদন জানাচ্ছি। পুরসভার উদাসীনতায় মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে পুরপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শান্তনু রায়, রঘুনাথগঞ্জ |