টুকরো খবর
একশো দিনের কাজ নিয়ে বৈঠক ব্লকে
একশো দিনের কাজে পিছিয়ে থাকা ১৩টি ব্লককে নিয়ে বৈঠক করার কথা জানিয়েছিল প্রশাসন। লক্ষ্য এই কাজে আরও সাফল্য। বৃহস্পতিবার তার প্রথম বৈঠকটি হল দাঁতনের রবীন্দ্র ভবনে। যেখানে দাঁতন ১, ২, মোহনপুর ও নারায়ণগড় ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, চারটি ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও নির্মাণ সহায়কেরা উপস্থিত ছিলেন। কী ভাবে একশ দিনের কাজে গতি আনতে হবে, তার জন্য কী কী করা প্রয়োজন বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও নির্মাণ সহায়কদের আরও বেশি করে সক্রিয় হওয়ার কথা বলা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) অরিন্দম দত্ত বলেন, “একশ দিনের কাজে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেতেই এই ধরণের উদ্যোগ।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ২৯টি ব্লকের মধ্যে ১৩টি ব্লকের কাজের গতি ছিল খুবই খারাপ। ফলে উন্নয়নে যেমন গতি কমছে, তেমনি এলাকার গরিব মানুষেরা কাজ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই ১৩টি ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার প্রথম বৈঠকটি হয়।

বিদ্যুৎ নেই, জেলে সমস্যা
দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না-থাকায় নানা সমস্যা হল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। শুক্রবার সকাল থেকে জেল চত্বরে জল সরবরাহ ব্যাহত হয়। রান্নাও হয়নি। ফলে, এ দিন সকালে আবাসিকদের রান্না করা খাবার দেওয়া সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী তারে ত্রুটি ধরা পড়ে। আচমকা লোডশেডিং-এ ডুবে যায় জেল চত্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেনারেটর চালানো হয়। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এক হাজারেরও বেশি আবাসিক রয়েছেন। এঁদের অধিকাংশ সাজাপ্রাপ্ত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আবার অধিকাংশ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। বাকিরা বিচারাধীন। শুক্রবার বেলার দিকে বিদ্যুতের তার মেরামত করা হয়। তারপর স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরতে শুরু করে জেল চত্বরে। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না-থাকায় সমস্যা যে হয়েছে, তা মানছেন জেল সুপার খগেন্দ্রনাথ বীর। তিনি বলেন, “কিছু সমস্যা হয়েছে তা ঠিক।”

আচমকাই জেল পরিদর্শনে ডিএসপি
আচমকাই মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার পরিদর্শন করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ডিএসপি (অপারেশন) সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পৌঁছন সৌতমবাবু। প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন তিনি। আলাদা ভাবে কথা বলেন জেল সুপার খগেন্দ্রনাথ বীরের সঙ্গে। পরে জেল চত্বর ঘুরেও দেখেন। ঠিক কী কারণে ডিএসপি-র (অপারেশন) জেল পরিদর্শন, জানা যায়নি। জেলা পুলিশের দাবি, এটা রুটিন পরিদর্শন। তবে, কয়েক সপ্তাহ আগে ছত্রধর মাহাতো, রাজা সরখেল, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের মতো সাত জন মাওবাদী নেতাকে রাতারাতি মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে অন্য সংশোধনাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। গোয়েন্দা দফতরের এক সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে এই স্থানান্তর বলে জেলেরই এক সূত্রের খবর। এই প্রেক্ষিতে ডিএসপি-র জেল পরিদর্শনে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে প্রাথমিক বিদ্যালয় চক্রের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল শুক্রবার। এ দিন মোহনপুর চক্রের ৪৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র ও একটি শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের ৪৪তম ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সূচনা হয়। উদ্বোধনে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপনকুমার প্রধান, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ পাত্র, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পিয়ালী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এ দিনই সবং ব্লকের সবং চক্র ও মোহার চক্রের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। খেপাল হাইস্কুল ও ভেমুয়া হাইস্কুল ময়দানে ওই প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম বিডিও অরিজিৎ দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পন্ডা প্রমুখ। শুক্রবার দাঁতনের সাউড়িতেও ৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৪টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের চক্র ক্রীড়া প্রতিযোগিতারও সূচনা হয়।

সিপিএম থেকে তৃণমূলে
সংহতি যাত্রায় মাধ্যমে তৃণমূলে যোগ দিলেন দুই সিপিএম সদস্য। শুক্রবার দাঁতনের আঙ্গুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই দুই সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এ দিন এলাকায় সম্প্রীতি রক্ষায় মিছিল বের করে তৃণমূল। ব্লকের হাসপাতাল মোড় থেকে সরাইবাজার পর্যন্ত দু’কিলোমিটার পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিক্রম প্রধান। সেই সময় সিপিএম সদস্য সঞ্জিত দাস মহাপাত্র ও সুনীল বারিক দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল নেতা বিক্রম প্রধান বলেন, “এলাকায় সিপিএমের অস্তিত্ব নেই। সিপিএমের কর্ম পদ্ধতিতে ওই সদস্যরাও বিরক্ত। তাই ওই দুই সিপিএম সদস্য আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।” যদিও সিপিএম জোনাল সম্পাদক অনিল পট্টনায়েক বলেন, “তৃণমূলের চাপেই ওই দুই সদস্য বাধ্য হয়ে দল ছেড়েছেন।”

সম্প্রীতির জন্য
‘সম্প্রীতি দিবস’ পালন করল বামফ্রন্ট। শুক্রবার মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল হয়। মেদিনীপুরের মিছিলে নেতৃত্ব দেন সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক কীর্তি দে বক্সী। এসএফআইও দিনটি পালন করে। অন্য দিকে, সিপিডিআরএসের পক্ষ থেকে দিনটিকে ‘সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। শহরের এলআইসি মোড়ে এক সভা হয়। মেদিনীপুর বিকাশ পরিষদও দিনটি পালন করে। নিমতলাচকের কাছে মোমবাতি জ্বালানো হয়।

কর্মশালা
পশ্চিমবঙ্গ যুব সংসদ ও প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতার এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল শুক্রবার। বিভিন্ন স্কুলের প্রায় দু’শো জন ছাত্রছাত্রী যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সংঘমিত্র মাকুড়, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) কবিতা মাইতি প্রমুখ।

স্মারকলিপি
কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ঢোকা বন্ধ করা-সহ বেশ কিছু দাবিতে শুক্রবার মেদিনীপুর কমার্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিবেকানন্দ দাস মহাপাত্রের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল এসএফআই। সম্পাদক শেখ বাবলু বলেন, “অবিলম্বে বহিরাগতদের ঢোকা বন্ধ করতে হবে।”

প্রতিষ্ঠা দিবস

হোমগার্ডদের প্রতিষ্ঠা দিবস
হোম গার্ডের ৫১তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপিত হল জেলায়। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ-সহ অন্যরা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.