চালকলে হানা দিয়ে প্রচুর চাল গম ও কেরোসিন উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার বর্ধমানের হাঁটুদেওয়ানের ওই চালকল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু জাল সরকারি স্ট্যাম্পও। পুলিশের সন্দেহ, পাচার করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের চাল, গম, কেরোসিন ওই চালকলটিতে মজুত করা হত।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “এই চালকলটি দু’বছর ধরে বন্ধ। ওখানের গুদামে সরকারি প্রকল্পের চাল চুরি করে রেখে পাচার করা হচ্ছিল, এমন খবর পেয়ে ভোর রাতে হানা দিয়ে ২৩টি মালবোঝাই ট্রাক আটক করেছে পুলিশ। তিন জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃতদের নাম আনিসুর রহমান মল্লিক, প্রশান্ত বাগ ও দেবব্রত হাটি। এরা ওই গুদামের কর্মী।” |
এসপি আরও জানান, দশ হাজার বস্তারও বেশি চাল, তিনশো বস্তা গম, ৬৮ ব্যারেল ডিজেল মেশানো কেরোসিন, বস্তায় ছাপ মারার টিনের প্লেট ও প্রচুর বস্তা মিলেছে। ছাপার রং, সিল ইত্যাদিও আটক করা হয়েছে। তাঁর দাবি, “নানা সরকারি প্রকল্প, এমনকী গণবন্টন, মিড-ডে মিলের জন্য সরবরাহ করা চালও রয়েছে এখানে। চালের বস্তার উপরে ভাল মানের ও নিচের দিকে নিম্নমানের কাঁকর মেশানো চালও রয়েছে।”
তবে এই চাল, গম কোথা থেকে এসেছে বা কোথায় পাচার হচ্ছিল, তা বলতে পারেনি পুলিশ। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপধ্যায় বলেন, “ধৃতদের জেরা করে কারা এতে যুক্ত তা জানার চেষ্টা চলছে।” গোটা ঘটনার পিছনে একটা বিশাল চক্র জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “বর্ধমানের চাল, গম, কেরোসিন উদ্ধারের ঘটনাটিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার আমার দফতরের বিশেষ সচিব গোপীনাথ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল পাঠানো হবে। এই দলে কোয়ালিটি কন্ট্রোল দফতর, ইন্ডিয়ান অয়েল ইত্যাদি দফতরের লোককেও পাঠানো হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের কাউকেই ছাড়া হবে না।” |