|
|
|
|
গোপী স্যরের টিপসই বদলে দিয়েছে: সিন্ধু
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৫ ডিসেম্বর |
কঠোর পরিশ্রম আর গুরু পুলেল্লা গোপীচন্দের টিপসই বদলে দিয়েছে তাঁর দুই ছাত্রী পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধু ও একদা বাংলার মেয়ে ঋতুপর্ণা দাসের জীবন। প্রথম জন সদ্য গ্রাঁ প্রি গোল্ড খেতাব জিতে ফিরেছেন ম্যাকাও থেকে। অন্য জন বাংলা ছেড়ে অন্ধ্রপ্রদেশে চলে যাওয়ার পর এ দিন চণ্ডীগড়ে অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হলেন অন্ধ্রেরই আর এক মেয়ে, রুথভিকা শিবাণীকে ২১-১৪, ২১-৭ উড়িয়ে দিয়ে। এবং দু’জনেই নিজেদের সাফল্যের জন্য এ দিন ধন্যবাদ দিলেন তাঁদের ‘গোপী স্যর’কেই। সিন্ধু যেমন বলছিলেন, গোপীচন্দ্র তাঁর খেলার স্টাইলে বদল নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বদলে দিয়েছেন তাঁর পুরো মানসিকতাই। হায়দরাবাদের অষ্টাদশীর অকপট স্বীকারোক্তি, “গোপী স্যরের পরামর্শগুলো মন দিয়ে মানার চেষ্টা করে লাভ হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতাটা অসম্ভব কঠিন। কিন্তু এখন আর আগের মতো প্রতিপক্ষ কে তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। রং চেষ্টা করছি যাতে সব ম্যাচেই নিজের সেরাটা দিতে পারি। আগের তুলনায় আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়েছে। নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারছি।” |
|
মা-বাবার সঙ্গে সিন্ধু। |
চলতি বছরের শুরুতে চিনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ঐতিহাসিক ব্রোঞ্জ জিতে সাড়া ফেলেছিলেন সিন্ধু। কিন্তু তার পর থেকে ম্যাকাও-এর খেতাবটার আগে পর্যন্ত মাঝের সময়টা একেবারেই ভাল যায়নি তাঁর। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পর ইন্ডিয়ান ব্যাডমিন্টন লিগে নেমে দু’-দু’বার বিশ্রী হারেন সাইনা নেহওয়ালের কাছে। যার জেরে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এগারো নম্বরে থাকা মেয়ে নাকি রীতিমতো মুষড়ে পড়েছিলেন। সিন্ধু বলছিলেন, “এতটাই মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে যা-ই করতে যাচ্ছিলাম সেটাই ভুল হচ্ছিল।” এই সময়েই একদিন গোপীচন্দ তাঁকে ডেকে বলেন, “এত ভেঙে পড়লে চলবে না। নিজের ফোকাস নষ্ট হতে দিও না। মাথা ঠান্ডা করে অনুশীলনে মন দাও। খামতিগুলো নিয়ে খাটতে হবে। আর কখনও ধৈর্য হারিয়ে ফেলো না। সাফল্য আসবেই।” কোচের সেই পরামর্শ মন দিয়ে মেনে চলাতেই ম্যাকাও ওপেনে এত বড় সাফল্য এসেছে বলে মনে করছেন সিন্ধু। এ বার সিন্ধুর সামনের লক্ষ্য জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা। বলছিলেন, “তাড়াহুড়ো না করে ধাপে ধাপে এগোতে চাই। এই মাসে দিল্লিতে সিনিয়র-ন্যাশনাল আছে। সেটাকে ফোকাস করেই অনুশীলন করছি। আপাতত জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা লক্ষ্য।” সঙ্গে প্রস্তুত হচ্ছেন পরের বছর বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠার জন্য। বলছিলেন, “নতুন বছরে তো পরপর ব্যাডমিন্টনের বড় বড় আসর। রয়েছে সুপার সিরিজ। অন্যান্য টুর্নামেন্টগুলো ছাড়াও আছে এশিয়ান আর কমনওয়েলথ গেমস। ওগুলোকে মাথায় রেখে তৈরি হচ্ছি।” তবে সবটাই হচ্ছে কোচ গোপীচন্দের ছকে দেওয়া রণকৌশল অনুযায়ী। সিন্ধুর কথায়, “গোপীস্যর যে ভাবে গাইড করবেন, সে ভাবেই প্রস্তুতি নেব। প্র্যাকটিসের সঙ্গে ফিটনেস নিয়েও খাটছি।”
|
পুরনো খবর: আবার সিন্ধু গর্জন |
|
|
|
|
|