|
|
|
|
অ্যাসেজ |
ক্যাচ ফস্কানো আর টুইট বিতর্কে ইংল্যান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদন
৫ ডিসেম্বর |
দিনের শেষ পর্বে দুর্ধর্ষ ক্যাচে দেশকে অ্যাসেজের দ্বিতীয় টেস্টে পাল্টা লড়াইয়ে তিনিই ফিরিয়েছেন। তবু আফসোস যাচ্ছে না গ্রেম সোয়ানের।
ইংরেজদেরই পরের পর ক্যাচ ফেলার আফসোস। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনের নির্যাস যদি ধরতে হয়, তা হলে যে ব্যাপারটা আসবে সর্বপ্রথম।
দ্বিতীয় আকর্ষক কিছু বাছতে গেলে আসবে মন্টি পানেসরকে (যাঁকে অ্যাডিলেডে নামানো হল) নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া-র টুইট-বিতর্ক। যা নিয়ে ক্ষমা চাইতেও হল অস্ট্রেলীয় বোর্ডকে।
স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ২৭৩-৫। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক (৪৮ ব্যাটিং) ও ব্র্যাড হাডিন (৭ ব্যাটিং)। যেটা আরও মজবুত দেখাতে পারত ক্রিজে জমে ওঠা জর্জ বেইলি ক্রিজে থাকলে। কিন্তু একেবারে শেষ দিকে স্কোয়ার লেগে উড়ে গিয়ে সোয়ানের অবিশ্বাস্য ক্যাচ তাঁকে যেমন ফেরাল, তেমনই ইংল্যান্ডকেও লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনল। সিরিজে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ১-০ এগিয়ে। এবং দ্বিতীয় টেস্টেও অ্যাডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়া বলার সময় চলে আসত, সোয়ানের ক্যাচটা না থাকলে।
যদিও তাতে ইংরেজদের দুশ্চিন্তা বিশেষ কমছে না। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের ক্যাচ ফেলা নিয়ে নাসের হুসেনের মতো প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক যেমন শঙ্কিত, ঠিক তেমন হতাশা সোয়ানের গলায়। |
|
অ্যাসেজ-উত্তাপ। বেইলিকে ফিরিয়ে ব্রডের হুঙ্কার। অ্যাডিলেডে বৃহস্পতিবার। ছবি: রয়টার্স। |
এ দিন একটা সময় অস্ট্রেলিয়াকে ভালই চাপে ফেলে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। ১৭৩-৪ করে দিয়ে। পানেসর ন’মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে তখনও পর্যন্ত ভালই বল করছিলেন। স্টিভ স্মিথকে দুর্দান্ত একটা ডেলিভারিতে বোল্ডও করেছেন। কিন্তু অতীতে পানেসরকে তাঁর ফিল্ডিং যেমন ভুগিয়েছে, এ দিনও তেমন ভোগাল। বেইলি যখন মাত্র ১০ রানে, তাঁকে ছাড়লেন ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি পঞ্জাবি স্পিনার। যার ফায়দা তুলে হাফসেঞ্চুরি করে গেলেন বেইলি। পরে ব্র্যাড হাডিনকেও ফেলল ইংল্যান্ড।
যা দেখে নাসের বলে দিয়েছেন, “ক্যাপ্টেন কুক ভালই ক্যাপ্টেন্সি করেছে। কিন্তু এ ভাবে ক্যাচ ফেলা ইংল্যান্ডকে টেস্টের ব্যাটন হাতে নিতে দিল না।” সোয়ান এসে বলে গেলেন, “অ্যাডিলেডে টস হেরে যদি আপনি দিনের শেষে পাঁচ উইকেট তোলেন, তা হলে খুব খারাপ বলা যাবে না। সংখ্যাটা যদি ছয় বা সাত হত, ভাল নিশ্চয়ই হত। ও ভাবে ক্যাচ ফেলার জন্য আফসোস তো হচ্ছেই। কিন্তু কাউকে আমরা দোষ দিচ্ছি না।” এবং যা নিয়ে কিছুটা খোঁচা দিয়ে গেলেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার ক্রিস রজার্সও। প্রথম দিনের হায়েস্ট স্কোরার (৭২) বলে দেন, “সত্যি বলতে ক্যাচ পড়ায় আমাদের সুবিধেই হয়েছে। আমরা যদি চারশো তুলতে পারি, ইংল্যান্ডের কাজটা অনেক কঠিন হবে।”
বৃহস্পতিবারের অ্যাডিলেডে প্রথম বল পড়ার আগেই অবশ্য এমন একটা ঘটনা ঘটল, যা নিয়ে দু’টো টিমের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারত। কিন্তু বাড়েনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তড়িঘড়ি ভুল সংশোধনে নেমে পড়ায়। গণ্ডগোলটা বাধে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া-র এক টুইটকে ঘিরে। যেখানে চার জন শিখ সম্প্রদায়ের সমর্থকের ছবি পোস্ট করে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘এঁদের মধ্যে কে মন্টি পানেসর, নিজেকে চেনাবেন?’ পরে দেখা যায়, ছবিটা মাঠেই তোলা হয়নি। পুরনো একটা ছবি, যা এ দিন পোস্ট করা হয়েছে। আধ ঘণ্টার মধ্যে ওই বিতর্কিত টুইট সরিয়ে ফেলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ক্ষমা চেয়ে বলা হয়, ব্যাপারটা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। কিন্তু তাতে কি পরের চার দিন মাঠে দু’দলের মধ্যে পূর্ণ শান্তি থাকবে?
|
পুরনো খবর: অ্যাসেজে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই, বলছে দু’দলই |
|
|
|
|
|