|
|
|
|
যন্ত্রণায় নেট করলেন না দিন্দা |
ছ’পয়েন্টের চিন্তা বাইরে রেখে মাঠে নামছে বাংলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উইকেটে সবুজ আভা মানেই ‘গ্রিন সিগন্যাল’ নয়। বাংলার রঞ্জি দলের কাছে ওটা আসলে হলুদ সিগন্যালের মতো। খুব সাবধানে এগোও।
যে দলটা ঘরের মাঠে গ্রিন টপ উইকেট চেয়েছিল নিজেদের পেস বিভাগ শক্তিশালী বলে, সেই বাংলা এখন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে পিচের এক দিকে গুড লেংথ অঞ্চলে সবুজ আভা দেখে চিন্তায় ও ধন্ধে, রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ঠিক কেমন দল নামাবে! এই সমস্যার মধ্যে ছ’পয়েন্ট নিয়ে ভাবার অবকাশ কোথায়?
যে দলের তিন পেসার (রঞ্জিত মালি, অনুরিত সিংহ ও কৃষ্ণকান্ত উপাধ্যায়) চার ম্যাচে ৪৮ উইকেট নিয়ে বসে আছেন, সেই দলের পেস বিভাগ এমন উইকেটে আগুন ঝরাবেন না, এমন ভাবাই বোকামি। তাই এমন উইকেটে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নেওয়া ভাল, না একজন বাড়তি পেস বোলার, ধন্দটা তা নিয়েই। এমনিতেই ঋ
দ্ধিমান সাহার মতো নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যাওয়ায় একজন ব্যাটসম্যান কমে গিয়েছে। ফলে ব্যাটিং শক্তিতে আরও ঘাটতি। গীতিময় বসু স্টাম্পের পিছনে দাঁড়িয়ে এই ঘাটতি পূরণ করতে পারলেও ব্যাট হাতে স্টাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে কতটা পারবেন, প্রশ্ন সেখানেই। সে জন্য সম্ভবত প্রথম রাস্তাতেই হাঁটতে হবে বাংলাকে। চার ম্যাচে একুশের গড়ে ১০৫ রান পাওয়া তরুণ ব্যাটসম্যান সন্দীপন দাসকে আর সুযোগ না দিয়ে ২৬ বছর বয়সি স্পিনার-অলরাউন্ডার অর্ণব নন্দীকে নেওয়ার ভাবনা রয়েছে শিবিরে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা শুক্রবার উইকেট দেখার পরমুহূর্ত পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে বলে জানালেন কোচ অশোক মলহোত্র। |
|
আজ থেকে নতুন পরীক্ষা লক্ষ্মীর। |
জেএমআই মাঠের কিউরেটর নুর মহম্মদের সাফ কথা, “ঘাস অনেক ছেঁটে দিলেও চার দিনই ক্যারি আর বাউন্স থাকবে এই উইকেটে। তৃতীয় দিন থেকে হয়তো স্পিনাররা কিছুটা সাহায্য পাবে।” বাংলার অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লও এই ব্যাপারে একমত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, “পেসাররা এই উইকেটে যেমন সাহায্য পাবে তেমন বল ব্যাটেও আসবে। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে ভাল।” কিন্তু পেসারদের পারফরম্যান্স চিন্তায় রেখেছে ক্যাপ্টেনকে। অশোক দিন্দাকে বাদ দিলে বাকিদের ফর্মে চিন্তিত কোচ-ক্যাপ্টেন দু’জনেই। শিবশঙ্কর পালের লাইন-লেংথ আছে, উইকেট নেই। চার ম্যাচে সাত শিকার তাঁর। সৌরভ সরকার তিন ইনিংসে প্রায় ষাট ওভার বল করে পেয়েছেন পাঁচ উইকেট। কার উপর ভরসা করবেন? তাই তৃতীয় পেসারের চাপটা এ বার নিজের কাঁধেই নিতে চান লক্ষ্মী। বললেন, “এই উইকেটে ঠিকঠাক ব্যাট করাটা যেমন জরুরি, তেমন ভাল বোলিংটাও দরকার। ডিফেন্সিভ হওয়া যাবে না এখানে। অল-আউট যেতে হবে। মোট কথা, ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে। কত পয়েন্ট আসবে, সেটা পরের কথা।” এর মধ্যেও চিন্তার বিষয় অশোক দিন্দার দাঁতের ব্যথা। সারা রাত ব্যথায় ছটফট করার পর এ দিন নেটেই নামতে পারেননি। সন্ধ্যায় ডাক্তারের কাছে যাওয়ায় তিনি জোরালো পেইন-কিলার ও অ্যান্টি-বায়োটিক দিয়েছেন যাতে ব্যথা কমে যায়। কিন্তু এই নিয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারবেন কি না, সেটাই প্রশ্ন।
বাংলার প্রাক্তন এবং অবহেলিত সৈনিক অরিন্দম ঘোষ বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে অনেক ‘ইনপুট’-ই দিয়েছেন লিগ টেবলের শীর্ষে থাকা রেলওয়েজ দলকে। তাঁরা যে অল আউটই যাবেন, তা জানিয়ে রেলের অন্যতম ভরসা অরিন্দম বললেন, “বাংলা বলে আলাদা কোনও ব্যাপার নেই। অন্যান্য ম্যাচের মতোই এই ম্যাচেও খেলব। আমরাও সরাসরি জেতার জন্যই ঝাঁপাব।” বাংলার কোচের গলায় কিন্তু এতটা আত্মবিশ্বাস নেই। ক্যাপ্টেন যেখানে বলছেন, পয়েন্ট নিয়ে ভাবছেন না, সেখানে কোচ বলছেন, “এই ম্যাচ থেকে ছ’পয়েন্ট পেতে গেলে আমাদের এক্সট্রাঅর্ডিনারি ক্রিকেট খেলতে হবে।” দলের যা অবস্থা, তাতে যে তা খুবই কঠিন, সেই ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। ফলে ছ’পয়েন্টের চিন্তা মাঠের বাইরে রেখেই খেলতে নামছে বাংলা, এ কথায় কোনও ভুল নেই বোধহয়।
|
পুরনো খবর: ভোট, প্র্যাকটিস করতে পারল না বাংলা |
|
|
|
|
|