অবশেষে তাজপুর সৈকতে বেআইনি হোটেল ভেঙে ফেলতে উদ্যোগী হল দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। ‘নেচার ভিউ’, ‘পাম ভিলেজ রিসর্ট’, ‘সানরাইজ’ ও ‘লা বেলা’ প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই এই চারটি হোটেল গড়ে উঠেছে বলে দাবি পর্ষদের। বুধবার পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল ওয়েস্ট বেঙ্গল টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি (প্ল্যানিং ও ডেভলপমেন্ট) অ্যাক্ট-১৯৭৯ এর ৫৩/১ ধারায় আগামী এক মাসের মধ্যে এই চারটি হোটেল ভেঙে ফেলার নোটিস জারি করেছেন। সৌমেনবাবু জানান, ওই সময়ের মধ্যে হোটেল কর্তৃপক্ষ নির্মীয়মান হোটেলগুলি ভেঙে না ফেললে পর্ষদের পক্ষ থেকেই ভেঙে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ভাঙার খরচ হোটেলগুলি থেকেই আদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন সৌমেনবাবু।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাজপুর সৈকতে এসে অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরও বেআইনি হোটেল-লজ তৈরি হচ্ছিল। গত অক্টোবর মাসে আনন্দবাজার পত্রিকায় সেই সংবাদ পরিবেশনের পর দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও পুলিশ-প্রশাসন নড়ে-চড়ে বসে। পর্ষদের চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী জানিয়ে দেন, বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার জন্য পর্ষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর ওই চারটি হোটেলের মালিককে শো-কজ করা হয়। সৌমেনবাবু বৃহস্পতিবার বলেন, “চারটি হোটেলই জমির চরিত্র পরিবর্তন না করে ও কোনও রকম বৈধ অনুমতি ছাড়া তৈরি হচ্ছিল। হোটেল কর্তৃপক্ষ শো-কজের যা উত্তর দিয়েছেন তা সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং উপযুক্ত কাগজপত্র জমা না দিতে পারায় ভেঙে ফেলার জন্য নোটিস জারি করা হয়েছে।” পর্ষদের চেয়ারম্যান ও কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “মন্দারমণি, শঙ্করপুর ও দিঘার বেআইনি ভাবে তৈরি হোটেল-লজগুলির বিরুদ্ধেও এ বার পযার্য়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
হোটেল মালিকরা প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি। তবে, তাজপুর সি কোস্ট হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামল দাস বলেন, “যে চারটি হোটেলের বিরুদ্ধে ভেঙে ফেলার নোটিস জারি হয়েছে, সেগুলিকে পঞ্চায়েত থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এমনকী বিদ্যুত্ দফতর থেকে সংযোগ পেয়েছে হোটেলগুলি। যদি বেআইনি ভাবেই নির্মিত হয়, তা হলে এরা ট্রেড লাইসেন্স বা বিদ্যুত্ সংযোগ পায় কি ভাবে?”
|