মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধ উড়িয়ে তাজপুরে অবৈধ হোটেল
রিবেশ দফতরের নিষেধ ছিল। বছর দু’য়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে বারণ করেছেন। তা-ও তাজপুরে সমুদ্রের কোলে বেআইনি হোটেল নির্মাণ চলছেই।
গত দু’বছরে পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় চার-চারটি অবৈধ হোটেল মাথা তুলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এই বালুতটে। পাশের দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুরকে ধরলে সংখ্যাটা ৩৭। প্রশাসনের দাবি, পুলিশকে নিয়ে তারা অভিযান চালায় মাঝে-মধ্যেই। যদিও স্থানীয় হোটেল মালিকদের একাংশের মতে, শাসকদল আর প্রশাসনের এক শ্রেণির আধিকারিকদের মদতে বেআইনি নির্মাণের রমরমা। মাঝে-মধ্যে পুলিশের হানা, নির্মাণকর্মীদের কাজ ফেলে পালানো এ সব লুকোচুরি খেলা বই কিছু নয়।
তাজপুরের মনোরম সৈকত, নিরিবিলি পরিবেশ পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। কিন্তু ‘কোস্টাল রেগুলেটিং জোনে’র আওতায় পড়ায় এর তটভূমিতে কোনও নির্মাণকাজ করা বেআইনি। পরিবেশ দফতরের পাশাপাশি রাজ্যের তরফে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদেরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা-ও পুজোর সময় একটি দোতলা হোটেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ওই হোটেলের পাশেই আর একটি হোটেল সদ্য তৈরি হয়েছে। গত সোমবার পুলিশ-প্রশাসনের একটি দল তাজপুরে অভিযানে গিয়েছিল। দলে ছিলেন দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পষর্দের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল, রামনগর ১-এর বিডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই সার, রামনগর থানার ওসি পল্লব সাউ। কেউ অবশ্য ধরা পড়েনি। সৌমেনবাবু বলেন, “লোক জন সব পালালেও চারটি বেআইনি হোটেল ও লজ চিহ্নিত করা গিয়েছে।” সংশ্লিষ্ট হোটেল মালিকদের শো-কজ নোটিস পাঠানো হবে বলে জানান সৌমেনবাবু। শো-কজের জবাব পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু এই ধরনের অভিযান আগেও হয়েছে অনেক। ব্লক ভূমি দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজনকে ধরা হয়। তাঁরা জামিনও পেয়েছেন। অভিযোগ, নামেই অভিযান চলে। বেআইনি হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তাজপুর সি কোস্ট হোটেলিয়ার্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামল দাসের কথায়, “তাজপুরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা নির্বিকার।”
প্রশাসন এই অভিযোগ মানতে নারাজ। পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেনবাবুর দাবি, “তাজপুরে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলছে।” পুলিশি অভিযানে কোনও খামতি নেই বলে জানান পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ জৈনও। কিন্তু এত অভিযানের পরেও বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হচ্ছে না কেন? সদুত্তর মেলেনি এসপি-র কাছে।
অবৈধ এই কারবার আর বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখের যে মুখ্যমন্ত্রী বারণ করার পরেও দিঘায় ১০টি, মন্দারমণিতে ১১টি, শঙ্করপুরে ১২টি ও তাজপুরে ৪টি বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। এ সব বরদাস্ত করা হবে না। এই ৩৭টি হোটেলই ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.