চালক ধনেশ্বর রায় গত রবিবার ডালখোলা থেকে ট্রাক ভর্তি ভুট্টা নিয়ে সোমবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি পৌঁছান। কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা ট্রাক চালক হাবিবুর আলম বা উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ নিয়ে ৩ দিন ধরে রাস্তাতেই দিন কাটছে রাজেশ প্রসাদদের। বাংলাদেশে হরতালের জেরে হিলি চেকপোস্ট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তাঁদের মতো শতাধিক বহির্বাণিজ্যের পণ্যবোঝাই ট্রাক ঠায় দাঁড়িয়ে। |
ট্রাকের নীচেই রান্নাবান্না। হিলিতে অমিত মোহান্তের তোলা ছবি। |
ট্রাকের নীচে রাস্তাতেই রান্নাবান্না ও খাওয়া চলছে। এ পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা গ্রাস করছে কমলালেবু, আপেল, টোম্যাটো আর পেঁয়াজের ব্যবসায়ীদের। লাগাতার হরতালের জেরে হিলি দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বহির্বাণিজ্য পুরো বন্ধ না হলেও সারা দিনে ২০-৩০টি পণ্যের ট্রাক হিলি বাণিজ্য বন্দরে এসে ঢুকতে পারছে। রফতানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সারা দিনে হিলি দিয়ে ও পারে গড়ে ১০০টির বেশি ট্রাক ঢুকে পণ্য নামিয়ে আসে। সে জায়গায় অল্প সংখ্যক ট্রাক যাচ্ছে। এতে লোকসান, সমস্যাও বাড়ছে।
হিলি অভিবাসন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে হিলি চেক পোস্ট দিয়ে দু’দেশের আড়াইশো লোক নিত্য যাতায়াত করেন। বাংলাদেশে বিরোধীদের ডাকা বন্ধের জেরে এখন সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০-২০তে। হিলি শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ও পার বাংলাদেশে গড়ে রোজ গড়ে প্রায় ১২৫টি পণ্যভর্তি ট্রাক রফতানি হয়। এক দিনে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য থেকে সরকারের ঘরে প্রায় ১১ লক্ষ ৭০ হাজার ডলার জমা পড়ে। হিলি কাস্টমস অ্যান্ড ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক মণ্ডল বলেন, “এই ক’দিনে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন রফতানিকারকেরা।” |