“দেখেশুনে মনে হচ্ছে, কাল একশো ওভারই উইকেটের চরিত্র একই রকম থাকবে। আর সেটায় বোলারদের জন্য কিছু নিশ্চয়ই থাকা উচিত,” বলছেন দক্ষিণ আফ্রিকার একদিনের দলের অধিনায়ক এবি ডে’ভিলিয়ার্স। ধোনির কাছে আবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের নাম—উইকেট। “এ দেশের পিচের বাউন্স আর গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারাটাই আমাদের দলের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ”, বলে ভারত অধিনায়ক এ দিন প্রাক-ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে আরও যোগ করলেন, “এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় আমাদের ছেলেদের অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি সাহায্যে লাগবে।”
চব্বিশ ঘণ্টা আগেই টিম ইন্ডিয়া কোচ ডানকান ফ্লেচারের মন্তব্যের একেবারে উল্টো রাস্তায় এ দিন হাঁটলেন ধোনি। ফ্লেচার বলেছিলেন, অভিজ্ঞতার চেয়েও আসল হল ফর্ম। ধোনি বলছেন, “আমরা ভারতের পাটা উইকেটে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাণবন্ত পিচে নামতে চলেছি ঠিকই। তবে এই দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বের সব জায়গায় খেলেছে। ফলে বিদেশের কোন মাঠের উইকেট কেমন, তার সঙ্গে কী ভাবে কত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে হয় সেই অভিজ্ঞতা আছে ওদের। এবং অভিজ্ঞতার মূল্য অসীম।” বিদেশে খেলার অভিজ্ঞতা আরও বাড়বে টিম ধোনির। দক্ষিণ আফ্রিকা দিয়ে শুরু। তারপর পরের বছর জুড়ে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সফর। যা শেষ হবে ২০১৫-র গোড়ায়। |
ডে’ভিলিয়ার্স আবার ভারতীয় বোলিংকে ‘দুর্বল’ বলেও নিজেদের ‘আন্ডারডগ’ মনে করছেন। “ঘরের মাঠে ব্যাপারটা আমাদের পক্ষে অবশ্যই একটু অদ্ভুত। কারণ, আমরা সচরাচর ঘরের মাঠে সিরিজ হারি না। কিন্তু এ বার পাকিস্তানের কাছে হেরেছি। তার পরেই ভারতের বিরুদ্ধে নামছি। তাই আমরা আন্ডারডগ।” শেষ ১৬টা ওয়ান ডে-তে দক্ষিণ আফ্রিকা তিনশো রান করতে পারেনি। শুনে ডে’ভিলিয়ার্সের খোঁচা, “কারণ আমরা বেশ কিছু দিন তো ভারতে খেলিনি।”
ধোনি আবার দাবি করলেন, “পাটা উইকেটে আমাদের বোলাররা ভাল করতে না পারুক, পিচ থেকে একটু সাহায্য পেলে আমাদের পেসার-স্পিনার সবাই কিন্তু ভাল পারফর্ম করে।” আর সেই বোলিং লাইন আপ ধোনি সম্ভবত সাজাতে চলেছেন তিন পেসার ভুবনেশ্বর-শামি-উমেশ এবং অশ্বিনের সঙ্গে স্পিনার-অলরাউন্ডার জাডেজায়।
তবে এক জন প্রাক্তন ভারতীয় পেসার মনে করছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে এত বাউন্স আর গতি থাকে যে, যে কোনও পেসারই ফায়দা তুলতে পারবে, লাইন-লেংথ ঠিক রাখলে। তিনি— অজিত আগরকর, বারো বছর আগে ভারতের প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে নিজের স্মৃতি হাঁতড়ে মুম্বই থেকে ফোনে বলছিলেন, ‘‘এখন দু’টো নতুন বলে ওয়ান ডে হওয়ায় ওখানে পেসারদের আরও পোয়াবারো। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের স্পিনাররা সফল নয়। এ বারও মনে হয় একই ছবি দেখব।” |
দক্ষিণ আফ্রিকায় একদিনের সিরিজে ভারত |
• ১৯৯২-’৯৩ ৭ ম্যাচে ২-৫ হার
• ২০০৬-’০৭ ৫ ম্যাচে ০-৪ হার
• ২০১০-’১১ ৫ ম্যাচে ২-৩ হার |
জো’বার্গে দু’দেশের ওয়ান ডে লড়াই |
• ১৩ ডিসেম্বর’৯২ (সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ)
দঃ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী
ভারত ৫০ ওভারে ১৬১-৯ (আজহার ৪৯, ডোনাল্ড ৩-২৭)
দঃ আফ্রিকা ৪৮.৩ ওভারে ১৬৫-৪ (ওয়েসেলস ৪৫, শ্রীনাথ ২-৩৯)
৫ অক্টোবর’০১ (স্ট্যান্ডার্ড ব্যাঙ্ক ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচ)
দঃ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী
• ভারত ৫০ ওভারে ২৭৯-৫ (সৌরভ ১২৭, সচিন ১০১)
দঃ আফ্রিকা ৪৮.২ ওভারে ২৮০-৪ (কার্স্টেন ১৩৩, শ্রীনাথ ২-৫৯)
১৯ নভেম্বর’০৬ (সিরিজের প্রথম ম্যাচ)
একটিও বল না হয়ে পরিত্যক্ত
• ১৫ জানুয়ারি’১১ (সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ)
ভারত ১ রানে জয়ী
ভারত ৪৭.২ ওভারে ১৯০ (যুবরাজ ৫৩, ধোনি ৩৮,
সতসবে ৪-২২, মর্কেল ২-৩২, স্টেইন ২-৩৫)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৩ ওভারে ১৮৯ (স্মিথ ৭৭, মুনাফ ৪-২৯,
জাহির ২-৩৭, রোহিত ১-১২) |
ওয়ান্ডারার্সে ভারতসেরা |
• ব্যাটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ১২৭ রান
• বলে মুনাফ পটেল ২৯ রানে ৪ উইকেট |
|
|