টুকরো খবর
ক্ষতিপূরণের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ
ক্ষতিপূরণের দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুদ্র ও ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা। সোমবার কালীগঞ্জের পলাশিতে সকাল এগারোটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত ওই অবরোধ চলে। স্থানীয় ভূমি ও ব্যবসা রক্ষা সমিতির সম্পাদক ধনঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন জমির মালিকরা। অথচ কয়েকশো ব্যবসায়ী, যাঁরা ফুটপাথে ব্যবসা করেন তাঁরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। এমনকি তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা পর্যন্ত করা হয়নি। এরই প্রতিবাদে অবরোধ করা হয়েছিল।”স্থানীয় ব্যবসায়ী মোস্তাফা দফাদার বলেন, ‘‘আমি দীর্ঘ দিন ফুটপাথে সব্জি বিক্রি করছি। আমাদের এভাবে উচ্ছেদ করে দিলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে।” আর এক ব্যবসায়ী দেবাশিস দাশ বলছেন, “১৯৯০ সালে অনেক টাকা সেলামি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছি। তখন জমি বিক্রি করে ও ব্যঙ্ক ঋণ নিয়ে এই জায়গা নিয়েছিলাম। এখন জমির মালিক ক্ষতিপূরণ পেলেও আমাদের কিছুই জুটছে না। এটা অত্যন্ত অমানবিক ব্যাপার।” কালীগঞ্জের বিডিও তনুশ্রী বটব্যাল বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক যাঁরা অবরোধ করেছিলেন তাঁদের দাবি দাওয়ার কথা আমি শুনেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকেও জানাব।”

পরীক্ষায় কারচুপি, ধৃত
আবগারি দফতরের কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল। রবিবার বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলের পরিদর্শকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কৃষ্ণনগর রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয় থেকে তিন জন মহিলা পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয় ও দ্বিজেন্দ্রলাল মহাবিদ্যালয় থেকে থেকেও পুলিশ পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগে একজন করে পরীক্ষার্থীকে পাকড়াও করে। রাতে ধৃতদের জেরা করে পুলিশ। তারপর সেই জেরা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নদিয়ার তেহট্র, ধুবুলিয়া ও রানাঘাটের কুপার্স ক্যাম্প থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “চক্রের মূল পান্ডা এখনও অধরা। তার নাগাল পেতে আমরা সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি”

যুবকের দেহ উদ্ধার
এক যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। মৃত নাম শেরফুল শেখ (৩০) কান্দির সাবিত্রীনগরের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় খড় বিক্রির টাকা আনতে ওই যুবক পড়শি গ্রাম সাতুইয়ে যান। ফেরার পথে সুভাষনগরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করে। সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই যুবকের মৃতদেহ দেখতে পান। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতের বাবা কায়ুমউদ্দিন স্থানীয় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে ছেলের বনিবনা ছিল না। আমার ধারণা ওরাই খুন করেছে ছেলেকে।’’ জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “মৃতের বাবার দায়ের করা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

খুনের নালিশ, ধৃত পড়শি
প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে পুলিশ রবিবার রাতে সাহাদাত মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের বাড়ি চাকদহের তারিণীপুরে। পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে ভাগিরথীর চরের জমি নিয়ে সাহাদাত ও জামাত আলি শেখের পরিবারের মধ্যে ঝামেলা বাধে। আচমকা সাহাদাত বছর আটচল্লিশের জামাতকে শাবলের বাড়ি মারে। তাঁকে কল্যাণীর জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে সেখানেই তিনি মারা যান। এরপরই মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সাহাদাতকে পাকড়াও করে।

আবাসনে চুরি হরিনঘাটায়
অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকার আবাসনে হানা দিয়ে নগদ কয়েক হাজার টাকা, সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল জনাকয়েক দুষ্কৃতী। ঘটনার সময় ওই শিক্ষিকা বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফাঁকি ছিল। তিনি কল্যাণীতে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সোমবার সকালে মেয়ের বাড়ি থেকে ফিরে হরিণঘাটার মোহনপুরের বাসিন্দা ইন্দুবালা চট্টোপাধ্যায় নামে ওই শিক্ষিকা দেখেন ঘর লন্ডভন্ড হয়ে আছে। খোয়া গেছে বেশ কিছু টাকা-পয়সা ও সোনার গয়না। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কল্যাণীর এসডিপিও চন্দ্রশেখর বর্ধন বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

অস্ত্র-সহ ধৃত দুষ্কৃতী
অস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প থেকে ধৃত ওই দুষ্কৃতীর নাম স্বপন মণ্ডল। সে গাংনাপুরের সিজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি এবং ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। স্বপনের বিরুদ্ধে একাধিক খুন ও অসামাজিক কাজের অভিযোগ ছিল। বছর সাতেক আগে এক ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। মাস দুয়েক আগে সে ছাড়া পেয়েছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ছাড়া পাওয়ার পর থেকে সে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে গাংনাপুর এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, “স্বপন মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

এটিএমে হামলা কান্দিতে
রক্ষিহীন দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে সালার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়ে, ওই দুষ্কৃতীরা প্রথমেই এটিএমের সিসিটিভি ভেঙে দেয়। তারপর ভাঙচুর করে এটিএম কাউন্টার দু’টিতে। তবে কোনও টাকা পয়সা নিতে পারেনি তারা। পুলিশ ওই দুষ্কৃতীদের সন্ধান পেতে তদন্ত শুরু করেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.