সাগরদিঘির জলে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছে কি না তা পরীক্ষার জন্য কোচবিহারের জলের নমুনা ব্যারাকপুরের গবেষণাগারে পাঠানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানান হয়েছে, ব্যারাকপুরের অন্তর্দেশীয় মৎস্য গবেষণাগারে নমুনা পাঠানোর জন্য সোমবার দিঘির জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দিঘির সব মাছ তুলে ফেলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। গত শুক্রবার থেকে কোচবিহারের সাগরদিঘিতে মাছের মড়ক শুরু হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। এ দিন, জেলা মৎস্য দফতর থেকে চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমিতিকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা মৎস্য দফতরের সহ অধিকর্তা অলোকনাথ প্রহরাজ হলেন, “প্রাথমিক পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, পচারোগের জেরে সাগরদিঘিতে মাছের মড়ক শুরু হয়েছে। এই রোগের সংক্রমণ শুরু হলে নিয়ন্ত্রণ করা সমস্যাজনক। তাই দিঘিতে জাল ফেলে সব মাছ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে জল পরিষ্কার করার কাজও করা হবে। ব্যারাকপুরে দিঘির জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান হচ্ছে।” |
কোচবিহারের সাগরদিঘিতে এই ছবি রোজকার। —নিজস্ব চিত্র। |
মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই মরা মাছ ভেসে উঠছিল। রবিবার রাশি রাশি মৃত মাছ ভেসে ওঠার পরে জেলাতেই জলের নমুনা এবং মৃত মাছের দেহাংশ পরীক্ষা করে জানান হয়েছে, সাগরদিঘির জলে অম্লত্ব বেড়ে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়েছে। দিঘির রক্ষণাবেক্ষণে যত্নবান না হওয়াতেই ওই সমস্যা হয়েছে বলেও আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ। ব্যারাকপুরের গবেষণাগারের নমুনা পাঠানোর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার কথা জানিয়েছেন দফতরের কর্তারা।
মৎস্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, দিঘি থেকে মাছ তুলে প্রাথমিক পরীক্ষা হবে। তার মধ্যে থেকে সংক্রামিত এবং মৃত মাছ মাটিতে পুঁতে দেওয়া হবে। দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে গড়ে বার্ষিক ৪৭ হাজার ২০০ টাকায় একটি সংস্থাকে মাছ চাষের জন্য সাগরদিঘি লিজে দেওয়া হয়। সে লিজের মেয়াদ গত এপ্রিলে শেষ হয়ে গিয়েছে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। |