আজ কুণালের জবানবন্দি নেওয়া যাবে কি না সংশয়
ধৃত তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের আইনজীবীরা চাইছেন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তাঁদের মক্কেলের গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করাতে। আর সরকার পক্ষ সেই জবানবন্দির উপরে স্থগিতাদেশ চাইছে। এই টানাপোড়েনে আজ, সোমবার কুণালবাবুর গোপন জবানবন্দি নেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
কুণালবাবুর আইনজীবী সৌম্যজিৎ রাহার দাবি, “সারদা মামলার তদন্তের স্বার্থেই আমাদের মক্কেল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিতে চান। এটাই আশ্চর্যের যে, অভিযুক্ত সহযোগিতা করতে চাইছেন। অথচ কোনও অজ্ঞাত কারণে তদন্তকারী সংস্থা তা এড়িয়ে যেতে চাইছে।”
কুণালবাবু ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিন, তদন্তকারীরা সেটা চাইছেন না কেন?
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা-প্রধান অর্ণব ঘোষ বলেন, “সারদা মামলার তদন্তের জন্য কুণাল ঘোষের গোপন জবানবন্দির কোনও প্রয়োজনই নেই। তাই আইন মেনেই এর উপরে স্থগিতাদেশ চাওয়া হচ্ছে।”
বিধাননগর আদালতের বিচারক অপূর্বকুমার ঘোষ শুক্রবার ওই সাংসদের গোপন জবানবন্দির আবেদন মঞ্জুর করেন। কুণালবাবুর আইনজীবীদের দাবি, এই গোপন জবানবন্দি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কুণালবাবু এত দিন সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারির ব্যাপারে যে-সব কথা বলতে চাইছিলেন এবং যে-সব নেতা ও মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করতে চাইছিলেন, জবানবন্দিতে তার সবই আইনগত ভাবে নথিভুক্ত করা হবে। সে-দিনই আদালতে ওই গোপন জবানবন্দির উপরে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী শেখর চক্রবর্তী। কিন্তু বিচারক তাঁর আবেদন নাকচ করে দেন।
কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় শনিবার। সারদা গোষ্ঠীর তছরুপ নিয়ে অন্য একটি মামলায় হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ কুণালবাবুকে দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কুণালবাবুর কৌঁসুলি সৌম্যজিৎবাবুর প্রশ্ন, “জবানবন্দি দেওয়ার আগে আমার মক্কেলকে ৪৮ ঘণ্টা আলাদা রাখার নির্দেশ দিয়েছিল বিধাননগর আদালত। তা না-মেনে হাওড়া পুলিশ দমদম জেল থেকে কুণালবাবুকে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেল কী ভাবে? এ ক্ষেত্রে জেল-কর্তৃপক্ষেরও দায় থেকে যাচ্ছে।” এই কাজের জন্য দমদম জেল কর্তৃপক্ষের
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কুণালবাবুর আইনজীবীরা।
দমদম সেন্ট্রাল জেলের সুপার বিপ্লব দাস বলেন, “যা হয়েছে, আইন মেনেই হয়েছে। বিধাননগরের আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জেলে কুণালবাবুকে আলাদা ঘরে রাখার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু হাওড়া পুলিশের কাছে কুণালবাবুকে তাদের হেফাজতে দেওয়ার জন্য উচ্চতর আদালতের নির্দেশ ছিল। তাই আমরা বন্দিকে ওদের হেফাজতে দিয়েছি।”
কুণালবাবুর গোপন জবানবন্দির উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে শনিবার ফের বিধাননগর আদালতে আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। তবে আদালতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তা মঞ্জুর হয়নি। শেখরবাবু রবিবার জানান, আজ, সোমবার সকালে কুণালবাবুর গোপন জবানবন্দির উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে ফের আবেদন জানানো হবে। প্রয়োজনে উচ্চতর আদালতেও যাব।”
সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়ার দাবি জানিয়ে এ দিন দুপুরে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করে বামফ্রন্টের চারটি মহিলা সংগঠন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কুণালবাবু যে-বারো জনের নাম বলেছেন, তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এই দাবিতে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় কয়েক জন মহিলা পুলিশ কর্মী বিক্ষোভকারীদের নিগৃহীত করেছেন বলে বিধাননগরের ডেপুটি কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.