তাঁদের যা টিম, তাতে একটা কেন দু’টো টি- টোয়েন্টি টিম হয়ে যেতে পারে। শাহিদ আফ্রিদি, উমর আকমল, সইদ আজমল ভয় ধরানো সব নাম। কিন্তু গত কয়েক বছরের মতো সম্ভবত আইপিএল সেভেনেও ‘ব্রাত্য’ থেকে যেতে হচ্ছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের।
দিন দু’য়েক আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছিলেন যে, আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে তাদের নির্ধারিত কোনও সফর নেই। পাক বোর্ড তাই আশাবাদী যে, ভারত সরকার যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে পাক ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার অনুমতি দেবে। কিন্তু পরিস্থিতি যা, তাতে সেই সম্ভাবনা বেশ কম। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সিঙ্গাপুরের আইপিএল ওয়ার্কশপে নাকি সামান্যতম কথাবার্তাও হয়নি পাক ক্রিকেটারদের প্রসঙ্গে। কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফ থেকেও কিছু বলা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, ডিসেম্বরে আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের একটা বৈঠক হতে পারে। সেখানেও নাকি পাক ক্রিকেটারদের নিয়ে কথাবার্তার সম্ভাবনা কম।
সিঙ্গাপুরের বৈঠকে উপস্থিত কারও কারও মনে হচ্ছে, আইপিএল সেভেনের সময় দেশে সাধারণ নির্বাচনের ব্যাপার থাকবে। ওই সময় পাক ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়ে সমস্যা অহেতুক বাড়াতে যাবে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পাক ক্রিকেটারদের খেলানো পরের প্রশ্ন, টুর্নামেন্টটাই পুরোপুরি দেশে ওই সময় করা যাবে কি না তা নিয়েই সন্দেহ আছে। যা নিয়ে শোনা গেল, বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসনও যথেষ্ট চিন্তিত। আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য তথা সিএবি যুগ্ম সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলছিলেন, “সিঙ্গাপুরেও হয়নি, গর্ভনিং কাউন্সিলের বৈঠকেও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিয়ে কথাবার্তার সম্ভাবনা কম।”
সিঙ্গাপুরে বরং ভাল রকম কথাবার্তা হল আইপিএলের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা নিয়ে। যে বৈঠকে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির উচ্চপদস্থ কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাবের প্রতিনিধি। জানা গেল, গড়াপেটা ও দুর্নীতির ফাঁসে আটকে পড়া সত্ত্বেও আইপিএল সিক্স যে ভাবে উন্মাদনা ছড়িয়েছে দেশে-বিদেশে, তাতে নাকি জার্মান ক্লাবের প্রতিনিধিরা মুগ্ধ। রীতিমতো নিজেদের ক্লাব-মডেল পেশ করে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তাদের বোঝানো হয়েছে কী ভাবে মুনাফা বাড়ানো যায়। যেমন বলা হয়েছে প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি অর্থের বিনিময়ে সমর্থকদের টিমের সদস্যপদ দিতে পারে। যেটা বায়ার্ন কেন, বহু অভিজাত ফুটবল ক্লাবেই করা হয়। |