আব্দুল আজিজের লিখিত অভিযোগ হাতে পেলেই টোলগে ওজবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন মহমেডান কর্তারা।
রবিবার দুপুরে কোচের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ক্লাব সভাপতি সুলতান আহমেদ। সেখানেই টোলগের বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দেন আজিজ। সভাপতি লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলেছেন কোচকে। পরে সুলতান আহমেদ বলেন, “টোলগে সহ অন্যান্য নানা বিষয়ে নিজের সমস্যার কথা আমাকে আজিজ জানিয়েছে। ওকে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলেছি। ওর অভিযোগ হাতে পেলেই টোলগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।” পাশাপাশি সভাপতি আরও জানান, “ডেম্পো ম্যাচের ম্যানেজার ইকবাল আহমেদ যাবতীয় বক্তব্য ইতিমধ্যেই লিখিত ভাবে আমাকে দিয়েছে। সেখানেও টোলগের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।”
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর অবশ্য, টোলগেকে ছেড়ে দেওয়ার ভাবনা শুরু করে দিয়েছে মহমেডান। আর এখন সেই পথই প্রশস্ত করছেন কর্তারা।
একেই টোলগের পারফরম্যান্স নেই। তার ওপর এই ফুটবলারের ব্যবহারে চূড়ান্ত বিরক্ত মহমেডান। বিশেষত ডেম্পো ম্যাচের দিন টোলগে যে ভাবে প্রকাশ্যে কোচের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বা কোচের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাতেই চটেছেন সাদা-কালো কর্তারা। শনিবার ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে ফিরে নাকি টোলগে এক কর্তাকে বলেছিলেন, “এ ভাবে না খেলালে আমাকে রিলিজ দিয়ে দেওয়া হোক।” এর জবাবে সেই প্রভাবশালী কর্তাও পাল্টা বলে দেন, “লিখিত ভাবে রিলিজ চাইলে সমস্ত টাকা মিটিয়ে তোমাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।” |
সুলতান আহমেদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর আজিজের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে চাঁচাছোলা ভাষাতেই তিনি বলে দেন, “টোলগে নিজেকে কোচের থেকেও বড় মনে করছে। তাই নিয়মের কোন ধার ধারে না। পারফরম্যান্স নেই। অথচ নানা ভাবে সমস্যাও তৈরি করছে।” এরই সঙ্গে কিছু কর্তার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করে আজিজ বললেন, “ফুটবলারদের শাসন করার সেই স্বাধীনতাই তো আমার নেই। কিছু কর্তা এমন ভাবে টিমের সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন যে, আমি নিজের কাজটাই করতে পারছি না। তাই টোলগের মতো কিছু ফুটবলার এখন নিজেদের হিরো মনে করতে শুরু করেছে।”
টিমের সব বিষয়ে কর্তাদের হস্তক্ষেপে তিনি যে চূড়ান্ত বিরক্ত, সে কথাও স্পষ্ট ভাবেই ক্লাব-সভাপতিকে জানিয়েছেন আজিজ। সুলতান আহমেদ অবশ্য তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। আজিজ নিজেও বলেন, “সভাপতি আমাকে আশ্বস্ত করার পর অনেকটাই হালকা লাগছে। খুব তাড়াতাড়ি আমি লিখিত অভিযোগ জমা দেব।” আজ সোমবার থেকেই নতুন উদ্যমে আবার অনুশীলনে নেমে পড়ছেন কোচ। এ দিকে সুলতান আহমেদ নিজে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ক্লাবের বাকি কর্তারা দু’এক দিনের মধ্যেই ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়ে দিলেন ক্লাব-সভাপতি নিজেই।
এখন দেখার, ক্লাব সভাপতির হস্তক্ষেপে ক্লাবের ডামাডোল কতটা মেটে! |