আসিফের গোলে হার বাঁচাল ইউনাইটেড স্পোর্টস। ম্যাচের চোদ্দ মিনিট বাকি থাকতে ইউনাইটেডের রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন পুণের নিখিল কদম। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সেই গোল শোধ করে এলকো সাতোরির দলকে অক্সিজেন দিলেন অনুপমের পরিবর্তে নামা আসিফ।
পুণের বালেওয়ারি স্টেডিয়ামে রবিবার জিততেই পারত ইউনাইটেড। কিন্তু গোলের সুযোগ নষ্টের খেসারত এ দিন দিতে হল র্যান্টিদের। ম্যাচের পর তাই হতাশ গলায় র্যান্টি বললেন, “তিন পয়েন্ট পেলে আমরা লিগ তালিকার দুইয়ে উঠে আসতে পারতাম। আরও হতাশ লাগছে নিজে গোল মিস করেছি বলে।’’
পুণে এসসি-কে হারাতে পারলেই দুইয়ে উঠে আসার সুবর্ণ সুযোগ ছিল র্যান্টিদের সামনে। কিন্তু আরাতা ইজুমিদের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে লিগ তালিকায় পাঁচ নম্বরেই থেকে গেল ইউনাইটেড। কোচ এলকো সাতোরি অবশ্য এতে অখুশি নন। বললেন, “পুণের মতো দলের বিরুদ্ধে আমার ছেলেরা যে ভাবে লড়াই করেছে তাতে আমি সম্তুষ্ট। তিন পয়েন্ট পেলে ভাল হত। তবে এই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্টও খারাপ নয়।”
শুরুটা অবশ্য খারাপ করেনি ইউনাইটেড। অনেক সুযোগও তৈরি করেছিল। পুণে বরং প্রথমার্ধ্বে জঘন্য ফুটবল খেলে। বিরতির পর অবশ্য আক্রমণে ফেরেন আরাতারা। তবে এরিক-শৌভিকরাও প্রতি আক্রমণে পুণের রক্ষণকে বেশ চাপে ফেলে দেয়। বিরতির পরের পঁয়তাল্লিশ মিনিটই দু’দলের ‘আসল’ লড়াই দেখল বালেওয়ারি স্টেডিয়াম।
ইউনাইটেডের সঙ্গে ড্র করে পুণে যখন লিগ তালিকার দুইয়ে থেকে গেল, তখন শিলং লাজংকে ২-১-এ হারিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে উঠে এল বেঙ্গালুরু এসসি। বেঙ্গালুরুর হয়ে জোড়া গোল করেন সুনীল ছেত্রী। দ্বিতীয় গোলটি অবশ্য পেনাল্টি থেকে। ম্যাচের শেষের দিকে ব্যবধান কমান লাজংয়ের বৈথাং।
আই লিগের অন্য ম্যাচে ডেরেক পেরেরার সালগাওকরকে ১-০-এ হারাল স্পোর্টিং ক্লুব। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ওগবা কালু। এই ম্যাচে জয় পাওয়ার ফলে চারে উঠে এল স্পোর্টিং। এ দিন ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় করণজিৎ যদি পেনাল্টি থেকে কালুর গোল না বাঁচাতেন তবে ব্যবধান আরও বাড়ত। স্পোর্টিংয়ের কাছে হেরে সালগাওকর নেমে গেল তিনে।
|