মুখ্যমন্ত্রীর শাখা সচিবালয়ের সামনের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া ২৪টি পরিবারের পুনর্বাসন নিয়ে জটিলতা অব্যাহত রইল। শনিবার ওই পরিবারগুলিকে রাজগঞ্জ ব্লকের একটি জমি দেখাতে নিয়ে গিয়ে ফের স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল প্রশাসনকে। সম্প্রতি একই ভাবে শালুগাড়ার বিকাশনগরের একটি জমিতে ওই পরিবারগুলিতে বসাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ -প্রশাসন।
জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি -১ পঞ্চায়েতের সাহুডাঙিতে এ দিন জেলা প্রশাসনের অফিসারদের সঙ্গে জমি দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয় ওই পরিবারের প্রতিনিধিদের। সেখানে সাহু নদী লাগোয়া এলাকায় মোট ২ একর ৪৭ ডেসিমেল জমি রয়েছে। বিডিও -র দাবি, জমিটি খাস। তার মধ্যেই ১ একর ৩০ ডেসিমেল ওই পরিবারদের দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে।
কিন্তু এ দিন প্রশাসনের লোককে এলাকায় দেখেই লোকজন সেখানে জড়ো হয়। জীবন রায় নামে এক ব্যক্তি ওই জমিটি তাঁর বলে দাবি করেন। তাঁর সঙ্গে এলাকার কিছু লোকজনও ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে সওয়াল শুরু করেন এলাকার বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রাজকুমার দাস। রাজকুমারবাবুর দাবি, “স্থানীয় লোকেদের পাট্টা দিয়ে তার পরে বাইরের লোকদের সেখানে বসানো যেতে পারে।” স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে পিছু হঠতে হয় সরকারি অফিসারদের।
রাজগঞ্জের বিডিও এনসি শেরপার বাক্তব্য, “জমিটি সরকারি খাস জমি। তবে যাঁরা দাবি করছেন তাঁদের জমি, তাঁদের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে।” তিনি জানান কাল, সোমবার জমির মলিকানা খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবও ক্ষুব্ধ। মন্ত্রী বলেন, “যাঁদের জমি রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করেছে, তাঁদের জমি দেওয়া হবে। তবে কারও আশ্রয় কাড়া হবে না। কারও অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখা হবে। আর কে, কী বলছেন তা আমরা দেখছি।”
শিলিগুড়ির লাগোয়া ফুলবাড়ির কামরাঙাগুড়ি এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর শাখা সচিবালয় তৈরি হচ্ছে। আগামী ২০ জানুয়ারি সেটি উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্মীয়মাণ সচিবালয়ের সামনে ওই ২৪টি পরিবারের বাস ছিল। আপাতত তারা থাকছে নিউ জলপাইগুড়ির পাস্কেলগুড়ির একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ভবনে। |