ষোলো জন স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে স্কুলে হাজির মাত্র তিন জন। তাই শনিবার সন্দেশখালির জেলিয়াখালি বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের তিনটি ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেল। ফিরে যেতে হল পরীক্ষার্থীদের। শিক্ষকদের ঘন ঘন অনুপস্থিতির জন্য পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে, এই অভিযোগে এ দিন স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। ঘেরাও করা হয় উপস্থিত শিক্ষকদের। শেষে ওই শিক্ষকেরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে আগামী ৪ ডিসেম্বর পরীক্ষা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিৎক্ষোভ থামে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন তালুকদারও এ দিন স্কুলে আসেননি। তিনি বলেন, “আমি জ্বরের জন্য স্কুলে যেতে পারিনি। পাঁচ জন শিক্ষক ছুটি নিয়েছেন জানি। কিন্তু বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেন গেলেন না জানি না। তিন শিক্ষকের পক্ষে কয়েকশো ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে তা বন্ধ রাখতে বলি। আগামী ৪ ডিসেম্বর ওই পরীক্ষা নেওয়া হবে।” স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক কৃষ্ণচন্দ্র হালদার বলেন, “এ ধরনের ঘটনা কোনও অবস্থাতেই বরদাস্ত করা হবে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে কোনও অজুহাত নয়, যে সব শিক্ষকেরা না জানিয়ে স্কুলে আসেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে। শিক্ষা দফতরকে জানাতে।”
ওই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৭৫০। ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়াও দু’জন পাশ্বর্র্শিক্ষক রয়েছেন। এ দিন সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। কিন্তু বেলা ১১টা নাগাদ পরীক্ষার্থীরা স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা না হয়ার কথা জানতে পারে। তার পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। উপস্থিত শিক্ষকদের মধ্যে মোশারফ হোসেন বলেন, “আমাদের মাত্র তিন জনের পক্ষে অত ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।”
বিক্ষোভকারীদের পক্ষে সনৎ জাগুলিয়া, জবেদ আলি মোল্লা খোকন আগুয়ানদের অভিযোগ, “স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রায়ই আসেন না। পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। এ বার একই কারণে পরীক্ষাও বন্ধ হল।” শিক্ষকদের অনুপস্থিতির কারণে পঠনপাঠন বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ
মানেননি স্বপনবাবু। |