|
|
|
|
|
প্রস্তুতি ম্যাচে নতুন বিতর্ক |
অ্যাডিলেডে ট্রটকে টেনে
স্লেজিং করবে না অস্ট্রেলিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
গাব্বার প্রথম টেস্টে স্লেজিংয়ের দায়ে ঘরে-বাইরে তীব্র সমালোচিত টিম অস্ট্রেলিয়া। তবু অ্যাডিলেডে অ্যাসেজে দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে স্লেজিং-অস্ত্র সমর্পণ করছেন না মাইকেল ক্লার্করা। তবে গোটা টিমের জন্য একটা লক্ষ্মণরেখা টানা হচ্ছে। অস্ট্রেলীয় কোচ ডারেন লেম্যান আজ বলেছেন, “চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলব। তবে নিজেদের জন্য একটা সীমারেখা তৈরি করা হয়েছেএই টেস্টে আর যা নিয়েই স্লেজিং চলুক, জোনাথন ট্রটের প্রসঙ্গ কেউ তুলবে না। আমরা চাই ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।”
এ দিকে, গনগনে স্লেজিং বিতর্ক আপাতত ছাই চাপা আগুনে পরিণত হলেও নতুন কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ঘোষক ডেভিড নিক্সন। এবিসি চ্যানেলের প্রযোজক নিক্সনের উপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চেয়ারম্যান একাদশের সঙ্গে ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠের সব ঘোষণার দায়িত্ব দেওয়া ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড স্পিনার মন্টি পানেসরের নাম ঘোষণা করার সময় ইচ্ছাকৃত ভাবে অতিরঞ্জিত ভারতীয় উচ্চারণ ব্যবহার করায় ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের সময়েই পত্রপাঠ বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। ইংল্যান্ড শিবির বিষয়টা অতটা খেয়ালও করেনি। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সাফ জানিয়েছে, “নিক্সনের আচরণ আমাদের গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। তাই ওঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।” বার্তাটা পরিষ্কার, ব্রিসবেনের পর এই সিরিজে যত দূর সম্ভব অপ্রিয় ঘটনা এড়িয়ে চলতে চায় তারা।
এমনকী, সরকারি ভাবে শাস্তি না হলেও, পার পাননি ডেভিড ওয়ার্নার। মানসিক অবসাদের সঙ্গে লড়াই করতে করতে ভেঙে পড়া জোনাথন ট্রট দেশে ফিরে যাওয়ার আগে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে ‘দুর্বল আর ভিতু’ বলেছিলেন ওয়ার্নার। এ দিন লেম্যান বলেন, “এটা ঠিক যে ট্রটের মানসিক অবস্থার কথা আমরা কেউই জানতাম না। কিন্তু ডেভিডের মন্তব্যগুলো মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আমি নিজে এটা নিয়ে ডেভিডের সঙ্গে কথা বলেছি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফেও ওকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। ডেভিড নিজেও স্বীকার করে নিয়েছে যে, বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিল।” |
|
|
|
|
|