|
|
|
|
ছ’পয়েন্ট থেকে দূরে সরছে বাংলা
চেতন নারুলা • নয়াদিল্লি |
পালামের নির্বিষ পিচ এবং বাংলা বোলারদের শুরুটা রাজকীয় হয়েও মাঝে ছন্দপতন। দুইয়ে মিলিয়ে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ছ’পয়েন্ট তোলার যুদ্ধে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল বাংলা।
পরিস্থিতি যা, তাতে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট আসার সম্ভাবনা প্রবল। হাতে পড়ে আর একটা দিন। সার্ভিসেসের প্রথম ইনিংস এখনও শেষ হয়নি। ফেলতে হবে আরও চার উইকেট। ফলো অন না খাওয়াতে পারলে তার পরেও বাকি থাকবে মোটামুটি একটা টার্গেট ছুড়ে সার্ভিসেসের দ্বিতীয় ইনিংসে দশ-দশটা উইকেট তোলা।
তবু শেষ চেষ্টার ইঙ্গিতও একটা থাকছে। শনিবার সন্ধেয় সৌরাশিস লাহিড়ীর মতো কেউ কেউ বলছিলেন, ফলো অন বাঁচাতে সার্ভিসেসের চাই এখনও গোটা কুড়ি রান। তার মধ্যে যদি চারটে উইকেট ফেলে দেওয়া যায়, তা হলে শেষ চেষ্টা করা যেতে পারে। “উইকেটটার এমনই অবস্থা যে বল হাঁটুর উপর উঠছে না। ঋদ্ধিমানকে উইকেটের কাছে দাঁড়িয়ে কিপ করতে হচ্ছে। তবে কাল ওদের তাড়াতাড়ি আউট করতে পারলে শ’খানেক তুলে ডিক্লেয়ার করে একটা চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে,” বলছিলেন সৌরাশিস। যিনি এ দিন সার্ভিসেসের প্রধান ব্যাটসম্যান যশপাল সিংহকে আউট করলেও শেষ পর্যন্ত বিশেষ লাভ হল না। অশোক দিন্দার (৩-৭৫) সকালে দুর্দান্ত বোলিংও বিছিন্ন ঘটনাই হয়ে থাকল। বাংলার প্রথম ইনিংসে ৪৩১ তাড়া করতে নেমে সার্ভিসেস প্রথম ইনিংসে আপাতত ২৬১-৬। এ দিন খেলার শেষে সার্ভিসেস ড্রেসিংরুমে ছিলেন জাতীয় নির্বাচক প্রধান সন্দীপ পাটিল। টিম ম্যানেজারের অনুরোধে সার্ভিসেস ক্রিকেটারদের সামনে দশ মিনিটের বক্তব্য রাখেন তিনি।
বাংলা কোচ অশোক মলহোত্র বলছিলেন, “বোলাররা সকালে ভাল বল করেছে। কিন্তু পিচে বোলারদের জন্য কিছু নেই।” তবে আরও একটা ব্যাপার আছে। যার যাবতীয় দায় বাংলা বোলারদের। চলতি রঞ্জির কিছু ম্যাচে দেখা গিয়েছে প্রথম দিকে উইকেট তুললেও পরের দিকে সাধারণ হয়ে পড়ছে বঙ্গ বোলিং। শততম রঞ্জি ম্যাচে যে ব্যাপারটা বোধহয় খুব স্বস্তিতে রাখবে না অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলা ৪৩১।
সার্ভিসেস ২৬১-৬ (তিওয়ারি ৭১। দিন্দা ৩-৭৫, সৌরাশিস ২-৬২) |
|
|
|
|
|