বিতর্ক চলছিল বেশ ক’দিন ধরেই। পূর্ব চিন সাগরের একটি দ্বীপের অধিকারকে কেন্দ্র করে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল চিন-জাপানের পুরনো দ্বৈরথ। কিন্তু এ বার মার্কিন সরকারের পদক্ষেপে অন্য মাত্রা পেল ঘটনাটি।
শুক্রবার মার্কিন সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, চিনের দাবি মেনে নিয়ে তাদের ‘এয়ার ডিফেন্স জোন’-এর উপর দিয়ে কোনও বিমান যাওয়ার সময় বেজিংকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। এই নির্দেশ মেনে চলবে মার্কিন বাণিজ্যিক বিমানগুলি।
গত ক’দিন যাবৎই এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছিল। চিনের এই আপাত ‘আগ্রাসী’ পদক্ষেপ যে মোটেও মানবে না তারা, সেটা বোঝাতে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের তরফে সেনা বিমান পাঠানো হয় ওই দ্বীপটিতে। বৃহস্পতিবার তার জবাবে পাল্টা যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চিনও। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শনিবার আমেরিকা তাদের বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্সগুলোকে চিনের দাবি মেনে নিতে বলায় উঠছে প্রশ্ন। হঠাৎ কেন এত নরম আমেরিকা? মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে, চিনের আগ্রাসন নীতিকে মেনে নেওয়া হচ্ছে এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই। তাদের তরফে একটি লিখিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির নিরাপত্তার জন্য ও আর্থিক সমৃদ্ধির জন্য আইন থাকা জরুরি। কিন্তু তা হলেও, চিনের ঘোষণা নিয়ে বেশ চিন্তিত আমরা।”
দীর্ঘ দিন ধরেই চিন সাগরের উপকূলবর্তী দ্বীপগুলিতে চিনের আগ্রাসন নীতি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সম্প্রতি, পূর্ব চিন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চালাকালীনই নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখে হঠাৎ ওই দ্বীপটিকে ‘এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন’ (এডিআইজেড) বলে ঘোষণা করে বসে চিন। দিয়াওয়ু বলে নামকরণও করে। কিন্তু ৪০ বছর আগে থেকেই জাপানি ভাষায় সেনকাকু বলে পরিচিত দ্বীপটি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ঘনিয়ে ওঠে দ্বন্দ্ব।
|
পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেল উত্তর-পূর্ব নামিবিয়ার বোয়াবোয়াতা জাতীয় অরণ্যে। ৩৪ জন আরোহীরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ২৮ জন যাত্রী এবং ৬ জন বিমানকর্মী-সহ শুক্রবার থেকে নিখোঁজ মোজাম্বিক এয়ারলাইন্সের টিএম-৪৭০ বিমানটি। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মোজাম্বিকের রাজধানী মাপুতো থেকে অ্যাঙ্গোলার উদ্দেশে উড়ান শুরু করে বিমানটি। দুপুর দু’টোয় পোঁছনোর কথা ছিল অ্যাঙ্গোলায়। কিন্তু মাপুতো ছাড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিমানটির সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। খারাপ হতে শুরু করে আবহাওয়া। তার পর থেকেই বাড়ছিল উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা। তা-ও আশা করা হয়েছিল, উত্তর নামিবিয়ার রুনডু বিমানবন্দরে হয়তো অবতরণ করবে বিমানটি। কিন্তু সে রকম কোনও খবরও পাওয়া যায়নি শুক্রবার রাত পর্যন্ত। |