মালদহে বিমানবন্দর চালু নিয়ে ফের কাজিয়ায় ডালু-কৃষ্ণেন্দু
লকাতার সঙ্গে মালদহের বিমান যোগাযোগ চালুর প্রস্তাব নিয়ে খুশি কংগ্রেস। তবে তৃণমূলের বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী মনে করেন, পুরানো জায়গায় ফের বিমানবন্দর চালু করায় নানা সমস্যা রয়েছে।
কংগ্রেস সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী বা ডালুবাবু এ দিন দাবি করেন, মালদহে বিমানবন্দর চালু করা নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় অসামরিক দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক মন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন, মালদহে বিমানবন্দের জন্য টাকার অভাব হবে না। এর পর এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কর্তারা মালদহ বিমানবন্দর পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, এখানে বিমান পরিষেবা চালু করতে গেলে ৫৫ একর জমির প্রয়োজন। কিন্তু স্থানীয় বিধায়কের আপত্তিতে জেলা প্রশাসন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সেই ৫৫ একর জমি দিচ্ছে না।” তাঁর কথায়, “বিমানবন্দর সংস্কারের টাকার কোনও অভাব নেই। কেবল জমির জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটি মালদহে বিমান পরিষেবা চালু করতে পারছে না।”
মালদহের পুরনো বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় ফেরার জন্য হেলিকপ্টারে
উঠছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।
দীর্ঘদিন ধরে আবু হাসেম খান চৌধুরীর সঙ্গে ওই বিমানবন্দরের জন্য জমি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কৃষ্ণেন্দুবাবুর মতবিরোধ রয়েছে। কৃষ্ণেন্দুবাবুর যুক্তি, “দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার ফলে বিমানবন্দরের প্রচুর জমি দখল হয়ে গিয়েছে। ওই জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে ৫ হাজার বাসিন্দাকে উচ্ছেদ করতে হবে। তা কখনও সম্ভব নয়।” তাঁর কথায়, “এ ছাড়া এই বিমানবন্দরকে ঘিরে একাধিক বহুতল, টাওয়ার ও ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এখানে বিমানবন্দর চালু হলে ছোট বিমান পরিষেবা মিলতে পারে। বড় বিমান ওঠানামা করতে পারবে না।” তাঁর বক্তব্য, “সেই কারণে আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম, পুরাতন মালদহে ৬০০ একর জমি জোগাড় করে দিচ্ছি। সেখানে বড় বড় কার্গো বিমান নামতে পারবে। আর এই পুরাতন বিমানবন্দরে বড় টাউনশিপ গড়ে উঠতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী সবই দেখেছেন। দু’টি প্রস্তাব নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করবেন।”
বিমানবন্দর নামা
• ১৫৫ একর জমির উপর মালদহ বিমানবন্দর তৈরি হয়েছিল।
• আশির দশকে প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মালদহ বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা চালু করেছিলেন।
• বেশ কিছু দিন বায়ুদূত পরিষেবা চালু থাকার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। অনেক জমি দখল হয়। সেখানে সবজি চাষ হচ্ছে।
• এখন ১৩৮ একর জমি রয়েছে বিমানবন্দরে।
• বাকি জায়গায় একাধিক বহুতল ও মোবাইলের টাওয়ার বসানো হয়েছে।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.